কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে এক কৃষকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় কুলিয়ারচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের পশ্চিম আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে মো. অলি উল্লাহ বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত আবুল কাশেম উরুফে রমজান আলীর ছেলে বাসির মিয়াকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নামে এ অভিযোগটি দাখিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মৃত মো. আব্দুল কাদিরের ছেলে অলিউল্লাহ ও হাবিবুল্লাহর সাথে একই গ্রামের মৃত আবুল কাশেম ওরুফে রমজান আলীর ছেলে মো. বাসির, ইসমাইল মিয়া ও উবায়েদ উল্লাহর জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।
উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের লোকজন নিয়ে একাধিকবার সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। সালিশের রায় অমান্য করে প্রতিপক্ষ গত ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে দেশীয় অস্ত্রাদীসহ লোকজন নিয়ে বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে অলিউল্লাহ ও হাবিবুল্লাহর বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে দুইটি ঘর ব্যাপক ভাঙচুর করে ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইলসেট ও জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ সময় গৃহবধূ তাসমিন বেগম (৩০) কে মারধোর করে শ্লীলতাহানি করে প্রতিপক্ষ।
মো. হাবিবুল্লাহ অভিযোগ করে করে বলেন, এতেও প্রতিপক্ষ ক্ষান্ত হয়নি, তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় রোপিত কাঁঠাল গাছ, বড়ই গাছ ও কলা বাগান কেটে তছনছ করে ফেলে প্রতিপক্ষ।
এছাড়া তাদের বাড়ির পূর্বপাশে তাদের জমিতে রোপিত কচুক্ষেতের চারা তুলে নষ্ঠ করে ফেলে তারা। এ সময় কৃষক অলিউল্লাহসহ কোনো পুরুষলোক বাড়িতে ছিলেন না। এ সুযোগে প্রতিপক্ষ বাড়ি ফাঁকা পেয়ে এ তান্ডব চালায়।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষের ইসমাইল মিয়া ওরুফে ভুট্টুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করার কথা অস্বীকার করে বলেন, প্রতিপক্ষ তাদের বাগান বাড়িতে হামলা চালিয়ে একটি মোটর নিয়ে যায়।
মোটর কোথায় স্থাপন করা হয়েছিল জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, মটারের ফাইভ স্থাপন করা ছিল না। মোটর তাদের ঘরেই ছিল।
এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন পিপিএম লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শুভ আহমেদসহ একাধিকবার পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের মো. ইসমাইল নামে এক ব্যাক্তি এর আগে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে। অভিযোগ দুটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এএম