ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সংঘবদ্ধ মাটি ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ জন আহত হয়েছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের আশ্রাফবাদ, হোসেনপুর এলাকায় ফসলি জমির মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কাটার দখল ও বাধা দেওয়া হলে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, মাটি ব্যবসায়ী মিরপুর গ্রামের বাবু গ্রুপসহ হোসেনপুরের শাহ আলম এবং ছলিমাবাদ গ্রামের হাসানের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ মাটি ব্যবসায়ীরা ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে কাটা নিয়ে দ্বন্দ্ব ও প্রভাব বিস্তার দেখাতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে টেটা, রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয় বলে প্রতক্ষদর্শীরা জানান। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে।
ভেকু দিয়ে মাটি কাটার দখলের এই সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয় কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ জন। তবে, বাঞ্ছারামপুর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন রকম জখম নিয়ে ৬ জন ভর্তি হয়েছে। অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে।
ভর্তিকৃত আহতরা হলেন- মো. শাহ আলম, হাসান মিয়া, মোক্তার প্রধান, আরিফুল ইসলাম বাবু, হোসাইন মিয়া ও আমিরুল ইসলাম। অন্যদের নাম জানা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছলিমাবাদ ইউনিয়নে দীর্ঘদিন যাবত একটি চক্র ভেকু দিয়ে ফসলী জমির মাটি কেটে ট্রাকে করে মাটি পরিবহণ করছিল। বিভিন্ন ইটভাটায় সে মাটি বিক্রি করা হচ্ছিল।
শনিবার সকালে মাটি কাটতে বাধা দেওয়ায় সংঘবদ্ধ মাটি ব্যবসায়ী চক্র এলাকাবাসীর ওপর হামলা চালায়। এখানে অভ্যন্তরীন কোন্দলও আছে বলে জানা গেছে। সেখান থেকেই আজকের উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ইউএনও ফেরদৌস আরা বলেন, ফসলি জমি রক্ষায় আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। সংঘর্ষের ঘটনায় যৌথ বাহিনী টহল দিচ্ছে। আমরা এলাকাবাসীকে শান্ত ও স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চালাচ্ছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, আমরাসহ সেনা সদস্যরা খবর পেয়ে ছুটে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। ফলে, কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
কেকে/এএম