দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বরিশাল মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থী আরিফার পাশে দাঁড়িয়েছে লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশন।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে বাগেরহাট শহরের আমলাপাড়া সড়কের ভাড়াটিয়া বাসায় গিয়ে লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা মেধাবী শিক্ষার্থী আরিফার হাতে নগদ অর্থসহায়তা তুলে দেন।
২২ জানুয়ারি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর মেডিকেলে চান্স পাওয়া বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের হতদরিদ্র ভ্যান চালক শেখ আসাদুজ্জামান ও গৃহিনী হামিমা আক্তার হিমার বড় মেয়ে অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী আরিফার পাশে লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশন সার্বিক সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার বোরহান উদ্দিন, প্রতিনিধি সালমান হোসাইন, মো. আল ইমরান, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক সুজন মোল্লা, জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ হোসাইন, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব ওবায়দুল ইসলাম জুয়েল,সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম স্বপনসহ আরো অনেকে।
মেধার স্বীকৃতি হিসেবে বরিশাল মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া আরিফা বলেন, স্বপ্নের দ্বারপ্রান্তে আসতে অনেক বাধা পেরোতে হয়েছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের সহযোগিতা না পেলে এটা সম্ভব হতো না। লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশনের এই অনুদান আমার স্বপ্নপূরণে বড় সহায়ক হবে। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
স্থানীয়রা জানান, এ ধরনের মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আগামীতে আরো অনন্যা ভূমিকা রাখবে লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশন।
লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি সালমান হোসাইন বলেন, আরিফার মেডিকেলের ভর্তির জন্য অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমের আরিফার পড়াশোনা শেষ পর্যন্ত লতিফ ফাউন্ডেশন পাশে থাকবে। এছাড়া বাগেরহাট জেলার মেধাবী শিক্ষার্থীদের যে-কোনো সহায়তার জন্য পাশে আছে ও আগামীতে থাকবে। লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশনের সহায়তা আরিফার স্বপ্নপূরণের পথে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।
আরিফার বাবা ভ্যান ও মা সেলাই মেশিন চালিয়ে কোনোমতে সংসার চালান। এনজিওর ঋণ ও মায়ের সামান্য গহনা বন্ধন রেখে পড়ালেখার খরচ বহন করেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে তাদের মেয়ে অদম্য মেধাবী আরিফা আক্তার বরিশাল সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পায়। সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় বাবা-মাসহ পরিবারের সকলের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। তবে অর্থাভাবে ভর্তি হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ছিলেন আরিফার পরিবার।
কেকে/এএম