পেঁয়াজের রাজধানীখ্যাত ফরিদপুরের সালথায় এবার লক্ষমাত্রা অতিক্রম করে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। এখানকার কৃষকদের প্রধান অর্থকরী মসলা জাতীয় ফসল এটি। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পেঁয়াজ ক্ষেতে চাষিরা দল বেঁধে করছে পরিচর্যার কাজ।
সালথা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় মোট ১১ হাজার ১ শত ৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে গত বছর কৃষকরা পেঁয়াজের দাম ভালো পাওয়ায় এবছর লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। লাল তীর কিং, তাহেরপুরী, ফরিদপুরী, বারি-১ সহ বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ রোপণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা তীব্র শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমিতে পেঁয়াজ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। টেঙ্গি হাতে ক্ষেত কোপানো ও জমিতে সেচ দিচ্ছেন তারা।
উপজেলার কয়েকজন পেঁয়াজ চাষি বলেন, গত বছর দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা এবছর পেঁয়াজ চাষে বেশি ঝুঁকেছেন। তাই আবাদ বেশি হয়েছে। এখন চলছে সেচ ও পরিচর্যার কাজ। আবহাওয়া যদি পেঁয়াজ চাষের অনুকূলে থাকে তাহলে ফলনও ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্যে পেলে চাষিরা লাভবান হবে।
উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা সুদীপ বিশ্বাস বলেন, এবছর সালথা উপজেলায় ১১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তা অতিক্রম করে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। এবার উৎপাদণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দুই লাখ মেট্রিক টন। এই উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা যাতে সঠিকভাবে অর্জিত হয় সেজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
কেকে/এএম