সিলেটে ঝাড়ফুঁককারী এক কাবিরাজের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপ, প্রতারণা ও মামলাবাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ করেছেন রিনা বেগম নামের এক নারী।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে রিনা বেগম বলেন, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার কদমরসুল গ্রামের কালা মিয়ার (মকবুল আলী) ছেলে সরফ ফকির পিয়াশাহ (৪৫) এর কাছে কয়েক বছর আগে তিনি ঝাড়ফুঁকের জন্য গিয়েছিলেন। পরিচয়ের একপর্যায়ে তাদের মাঝে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ও ২০১৪ সালে রেজিস্ট্রি কাবিন ছাড়া তাকে ধর্মীয়ভাবে বিয়ে করেন সরফ ফকির।
কিন্তু বিয়ের পর রিনা বুঝতে পারেন তার স্বামী একজন লম্পট, দুশ্চরিত্র ও মামলাবাজ প্রকৃতির লোক। দেশের বিভিন্ন স্থানে তার ১৪-১৫ জন স্ত্রী রয়েছেন। এদের দিয়ে তিনি মামলাবাণিজ্য করেন। বিবাদী পক্ষের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা নিয়ে পরে সেসব মামলা তুলে নেন।
বিভিন্ন স্ত্রীকে দিয়ে তিনি টাকার বিনিময়ে অন্যের ওপর ধর্ষণ বা নারী নির্যাতন মামলা দয়ের করান একের পর এক। এমন মামলা রিনাকেও দিয়ে করিয়েছেন সরফ ফকির। শুধু মামলাবাণিজ্যই নয়, স্ত্রীদের দিয়ে দেহব্যবসাও করান সরফ। যে স্ত্রী এতে অসম্মতি করেন তাকে নির্যাতন করা হয়।
নির্যাতন-নিপীড়নের এক পর্যায়ে রিনা বেগম তাকে তালাক দিয়ে ইসমাইল উদ্দিন (রুবেল আহমদ) নামে একজনকে বিয়ে করে সুখে সংসার করছিলেন। কিন্তু খবর পেয়ে সরফ তার গোলাপজান নামের স্ত্রী দিয়ে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানায় ইসমাইলের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়ের করিয়েছেন। বর্তমানে সে মামলায় ইসমাইল জেলহাজতে।
এ অব্স্থায় দিশেহারা রিনা বেগম প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কবিরাজ সরফকে গ্রেফতার করার জোর দাবি জানিয়েছেন।
সরফ ফকিরের কুকীর্তির বিষয়গুলো তুলে ধরে ইতোমধ্যে সিলেটের রেঞ্জ ডিআইজিসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন দফতরে দরখাস্ত করেছেন বলে জানান রিনা বেগম।
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে সরফ ফকির পিয়াশাহর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কেকে/এএম