কুমিল্লা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মায়ের সামনে সোলার ল্যাম্পের খুঁটির সাথে বেঁধে ইমরান হোসেন (২১) নামের এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে ওই যুবককে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আহত ওই যুবক আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধিন।
এ ঘটনায় শনিবার সন্ধায় চৌদ্দগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন আহত ইমরান হোসেন মা। এর আগে শুক্রবার (২৪জানুয়ারি) রাতে উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ইমরান একই গ্রামের মো. শাহ আলমের ছেলে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক জাবেদ হোসেন বলেন, শুক্রবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে মুমূর্ষূ অবস্থায় ইমরান হোসেনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার পুরো শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহৃ দেখা গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমরা তাকে আশংকাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি।
ইমরানের মা আফরোজা বেগম বলেন, ‘শহিদুর রেজা রতন মিয়াজী এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী। এলাকায় তার নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। তার সামাজিক অপকর্মের বিরুদ্ধে আমার ছেলে প্রায়সময় প্রতিবাদ করতো। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে আমার ছেলেকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিল। শুক্রবার সন্ধার পরে ইমরান তারাশাইল বাজারের একটি বিকাশ দোকান থেকে টাকা উঠিয়ে ফেরার পথে তাকে একা পেয়ে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর শুরু করে। আমার ছেলের চিৎকার শুনে আমি এগিয়ে গেলে তারা আমাকেও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে। এ সময় তারা মসজিদের সামনের একটি খুঁটির সাথে বেঁধে তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে নির্যাতন করে। পরে মৃত ভেবে তারা আমার ছেলেকে ফেলে রেখে চলে যায়। আমি প্রশাসনের প্রতি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিতের জোর দাবি জানাচ্ছি।
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ইমরান নামে এক যুবককে নির্যাতনের একটি ভিডিও চিত্র আমার নজরে এসেছে। অভিযুক্ত শহিদুর রেজা রতন মিয়াজীকে প্রধান আসামী করে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশের কাজ করছে।
কেকে/ এমএস