গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদিরুল আহসান সেলিমের বিরুদ্ধে সরকারি মালামাল আত্মসাৎ, টিসিবি কার্ডসহ বিভিন্ন সুবিধার বিনিময়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে তার অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে সোনারায় ইউনিয়নের ছাইতানতলা বাজারে সচেতন নাগরিক সমাজ ও ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় একটি বিক্ষোভ মিছিল বাজার প্রদক্ষিণ করেন। এতে প্রায় দুই শতাধিক লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন ও পথসভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক এইচএম মতিয়ার পারভেজ, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান মঞ্জুরুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা যুবদলের পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক সামিউল ইসলাম সামু, যুবনেতা মেহেদী হাসান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক স্মরণ পারজেভ, সোনারায় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মারুফ বিল্লাহ, উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, স্থানীয় শফিকুল ইসলাম, হেছাব উদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, রাজু আহমেদ, স্বাধীন মিয়া, জয়নাল আবেদীন, নিখিল চন্দ্র প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘চেয়ারম্যান বদিরুল আহসান সেলিম দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের দরিদ্র মানুষের অধিকার হরণ করে আসছেন। তিনি সরকারি মালামাল বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছেন। বিশেষ করে, টিসিবি কার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সুবিধা দেওয়ার সময় অর্থ আদায় করে তিনি দরিদ্র মানুষের কষ্টকে আরও বাড়িয়ে তুলেছেন। তার এই কর্মকাণ্ড শুধু অনৈতিকই নয়, এটি আইনবিরুদ্ধ এবং সাধারণ মানুষের প্রতি চরম অন্যায়।’
তারা আরো বলেন, আমরা তার দ্রুত অপসারণ এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ জনগণের সঙ্গে এভাবে প্রতারণা করার সাহস না পায়। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই কেবল জনগণের অধিকার রক্ষায় সঠিক বার্তা দিতে পারে।
মানববন্ধন ও পথসভায় অংশগ্রহণকারীরা উপজেলা প্রশাসনের প্রতি দ্রুত তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা চেয়ারম্যানের অপসারণ এবং তার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।
এর আগে, শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে টিসিবি'র স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময় জনপ্রতি ২০০ টাকা করে আদায় করা হয়। চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে পরিষদের সচিব সফিকুল ইসলাম উপকারভোগীদের কাছ থেকে এই অর্থ সংগ্রহ করেন। এদিন সকাল থেকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে চেয়ার-টেবিল নিয়ে কার্ড বিতরণ শুরু হয়। এ সময় চেয়ারম্যানের লোকজন সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা নিতে শুরু করলে অনেকে প্রতিবাদ জানান। তারা অভিযোগ করেন, টিসিবি কার্ড বিনামূল্যে দেওয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যানের নির্দেশে অর্থ আদায় করা হয়েছে, যা বেআইনি। এতে পরিষদ এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
কেকে/ এমএস