বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪-এর জন্য ঘোষিত পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকদের তালিকা তিনদিনের জন্য স্থগিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। পুরস্কার স্থগিতের বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
একইসঙ্গে এক ফেসবুক পোস্টে পুরস্কার স্থগিতের ঘোষণা দেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিন কার্যদিবসের মধ্যে আবার তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।
পুরস্কার স্থগিতের বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। আজ রোববার (২৬ জানুয়ারি) তিনি জানিয়েছেন, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাওয়া কারও বিরুদ্ধে গনবিরোধী রাজনীতি এবং গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
তিনি বলেন, গণবিরোধী রাজনীতি এবং গণহত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাওয়া কারও কারও বিরুদ্ধে। সেসব তথ্য যাচাই বাছাই করার জন্য পুরস্কারটি স্থগিত করা হলো। তদন্ত শেষে যদি প্রমাণ মেলে, তবে অবশ্যই তাদেরকে বাদ দেয়া হবে।
এদিকে, ঘোষিত পুরস্কার নিয়ে শুরু থেকেই প্রতিবাদ করে আসছেন কবি-লেখকদের একাংশ। জানা যায়, ফারুক নওয়াজ ও মোহাম্মদ হাননানের একাধিক শেখ মুজিবকে নিয়ে বই রয়েছে বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া এবারের পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকায় কোন নারী লেখক পুরস্কৃত হোন নি বলে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে। এই নারী কোটার বিষয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার পোস্টে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ফেসবুক পোস্টে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন, ‘‘বাংলা একাডেমি পুরস্কারের জন্য ঘোষিত নামের তালিকা স্থগিত করা হয়েছে। এখন সময় এসেছে নীতিমালা পুনর্বিবেচনার। বাংলা একাডেমির কার্যক্রম পরিচালনায় স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি। প্রতিষ্ঠানটির সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে।’’
এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের জন্য ১০ জন কবি-লেখকের নাম ঘোষণা করা হয়। তালিকায় ছিলেন কবিতায় মাসুদ খান, কথাসাহিত্যে সেলিম মোরশেদ, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে শুভাশিস সিনহা, প্রবন্ধে সলিমুল্লাহ খান, শিশুসাহিত্যে ফারুক নওয়াজ, অনুবাদে জি এইচ হাবীব, গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে মোহাম্মদ হাননান এবং ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদ।
কেকে/এআর