রংপুরের গঙ্গাচড়ায় এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এঘটনায় নিহতের স্বামী সোহাগ মিয়াকে (২৬) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা পুলিশ আটক করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের জয়দেব মধ্যপাড়া গ্রামে।
এ ঘটনায় শারমিনের পিতা বাদী হয়ে থানায় হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন।
এলাকাবাসী জানায়, প্রায় দুই বছর আগে গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের চেংমারী মান্দ্রাইন গ্রামের আউয়াল হোসেনের মেয়ে শারমিন খাতুনের (২০) সাথে জয়দেব মধ্যপাড়া গ্রামের মহুবর রহমানের ছেলে সোহাগ মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুকের কারণে নববধূর উপর নির্যাতন অব্যাহত থাকলে নববধু শারমিন খাতুন আদালতে তার পরিবারের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন। তখন থেকেই শারমিন তার পিতার বাড়িতে অবস্থান করছিল। গত প্রায় ৬ মাস আগে স্থানীয়ভাবে অপোস-মীমাংসার মাধ্যমে শারমিনকে তার স্বামীর বাড়িতে নেওয়া হয়। এরপর মামলাটিও প্রত্যাহার করা হয়।
শারমিনের পিতা আউয়াল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, মামলা প্রত্যাহারের পর যৌতুকের দাবিতে পুনরায় শারমিনের উপর স্বামী ও তার পরিবারের লোকদের নির্যাতন অব্যাহত থাকে।এবং গত (শনিবার দিবাগত) রাতে মেয়েকে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আল এমরান বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
কেকে/এইচএস