রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১৫ জন পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার এসি তারেক সেকান্দার অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. আকরাম হোসেন, মো. জাহিদুল হাসান ওরফে জাহিদ, মো. মিরাজ, মো. রাহাত আহম্মেদ ওরফে বাদশা, মো. সাগর, মো. শাহিন, মো. তাজু ইসলাম, হাবিব, শাকিল, শরীফ হাওলাদার, মেহেদী হাসান, আরিফুর রশোন, মো. ফরহাদ হোসেন, জহিরুল ইসলাম, মো. আরিফ। এদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে মোহাম্মদপুর থানা এলাকার ঢাকা উদ্যান, চাঁদ উদ্যান, বসিলা ৪০ ফিট ও নদীর পাড়ের ওয়াকওয়ে এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
মোহাম্মদপুর থানা সূত্রে জানা যায়, ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইবনে মিজানের নেতৃত্বে তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, মোহাম্মদপুর জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার, সহকারি পুলিশ কমিশনার (পেট্রোল) ও মোহাম্মদপুর থানার চৌকস টিম এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। বিশেষ অভিযানে ১৫ জন পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত থেকে ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা মোহাম্মদপুর এলাকার পেশাদার ছিনতাইকারী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ছিনতাইয়ের বিভিন্ন ঘটনার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানাসহ বিভিন্ন থানায় ছিনতাই, মাদকসহ অন্যান্য মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পর তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার এসি তারেক সেকান্দার। এর আগে মোহাম্মদপুর এলাকায় বিভিন্ন মহল্লায় চুরি ছিনতাই ও ডাকাতি সহ কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচার বেড়ে গেলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে।
গত দুদিনের অভিযানে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে এই ক্রাইম জোন এলাকাটিতে- এমন প্রত্যাশা কামনা করছেন এলাকাবাসী। মোহাম্মদপুর এলাকায় মূল সড়কগুলোতে চেকপোস্ট বসানোও জরুরী বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কেকে/এজে