বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার জানুয়ারি-২০২৫ এর পাঠচক্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাঠচক্রের নির্ধারিত বই ছিল কবি আল মাহমুদের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘সোনালি কাবিন’।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) পাঠচক্রটি মুহাম্মাদ রিয়াদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলে।
পাঠচক্রটিতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুজন আরিফ। এবং পাঠক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীরা।
পাঠচক্রটি যেভাবে সাজানো হয়: অতিথিকে শুভেচ্ছা উপহার, ফোরামের প্রতিনিধির স্বাগত বক্তব্য, পাঠ-প্রতিক্রিয়ার পর্ব, আবৃত্তি পর্ব, আলোচনা পর্ব, প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং পুরস্কার পর্ব।
আলোচনা পর্বে সুজন আরিফ এডওয়ার্ড সাঈদের রেফারেন্স টেনে শুরু করেন: যে জাতির পরিচয় সংকট থাকে, সে জাতি উঠতে পারে না। তারপর সোনালি কাবিন যে কবি আল মাহমুদের একটি আত্মপরিচয়ের গ্রন্থ সে বয়ান তার কাব্যিক ভাষায় যাপিত জীবনের সহজ-সরল বর্ণনা এবং বাস্তব উপমা ও উদাহরণের মাধ্যমে প্রাণবন্তভাবে তুলে ধরেন। আত্মপরিচয়ের পাশাপাশি সোনালি কাবিনের সৌন্দর্য-প্রীতি আল মাহমুদের পোয়েটিক্স ডিকশনের যে আওতাধীন, তা সুগভীর কথামালার মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
আমন্ত্রিত অতিথির হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফোরামের অন্যতম প্রতিনিধি হৃদি সরকার। পাঠ-প্রতিক্রিয়া পর্বে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সাজ্জাদ হোসাইন নান্দনিকভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করেন। কাব্যগ্রন্থ থেকে ‘কবিতা এমন’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা আফরোজ। প্রশ্ন পর্বে প্রশ্ন করে পুরস্কার বুঝে নেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শাহজাহান সুজন এবং নাইমুর রহমান আকিল।
শ্রোতাদের মাঝে উচিংম্রা মারমা, উম্মে কুলসুম মার্সিয়া, আব্দুল হাকিম, হারুনুর রশিদ হিমেল, লিমা আক্তার, সুমন চৌধুরী, এমদাদ উল্লাহ সাকিব, আব্দুল হালিম, মোহাম্মদ আনিসুল্লাহ, জাহিদুল হক, আ. রহমান, নুর মোহাম্মদ সাগর, মুশফিকুর রহমান, আকিল, সাজ্জাদ, সুজন, সানজিদা আফরোজসহ উপস্থিত ছিলেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী।
পাঠচক্রটির মাঝে একটি সুন্দর ও সার্থক পাঠচক্রের প্রায় সকল গুণাবলি বিদ্যমান ছিলো। পরিশেষে অশেষ কৃতজ্ঞতা আমাদের সম্মানিত আলোচক ও প্রিয় পাঠক বন্ধুগণের প্রতি।
লেখক: মুহাম্মাদ রিয়াদ উদ্দিন
কেকে/এজে