রংপুরের সামনে ছিল প্রতিশোধ নেওয়ার বিশাল সুযোগ। কারণ, এ ম্যাচে রাজশাহীর স্কোয়াডে ছিল না কোনো বিদেশি ক্রিকেটার। পেমেন্ট না পাওয়ায় রংপুর ম্যাচ বয়কট করেছেন হারিস-রায়ান বার্লরা। তাই লোকাল ক্রিকেটারদের নিয়েই মাঠে নামতে হয়েছিল রাজশাহীকে। এ দেশিদের নিয়েই যেন রাজশাহী দুর্বার। এই ম্যাচে রংপুরকে ২ রানে হারিয়েছে রাজশাহী। এতে টেবিল টপার দলটির বিপক্ষে টানা দুই জয় পেল তাসকিনরা।
আগে ব্যাট করতে নেমে রংপুরকে ১২০ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল রাজশাহী। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১১৭ রান তুলতে পারে রংপুর। এতে ২ রানের জয় পায় রাজশাহী। এতে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এসেছে রাজশাহী।
মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর। দলীয় ৪৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে টেবিল টপাররা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন স্টিভেন টেইলর। ৩ বলে শূন্য রান করে তাকে সঙ্গ দেন সাইফ হাসান। এরপর সৌম্য সরকার (৮), শেখ মাহেদী (০) এবং নুরুল হাসানকে ফিরিয়ে রংপুর শিবিরে কাঁপন ধরান মিত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
তবে এক প্রান্ত আগলে রাখার চেষ্টা করেন ইফতেখার আহমেদ। কিন্তু বেশিক্ষণ তা চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। ২০ বলে ১৪ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। ১৮ বলে ১০ রান করে তাকে সঙ্গ দেন স্বদেশি খুশদিল শাহ। এতে ৪৯ রানে ৭ উইকেট হারায় দলটি। এরপর রংপুর শিবিরে হাল ধরার চেষ্টা করেন সাইফউদ্দিন। শেষ ৬ বলে রংপুরের প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। শেষ ওভারের প্রথম দুই বলেই ছক্কা হজম করেন জিশান। তবে পরের দুই বলে ডট দেন সাইফউদ্দিন। শেষ দুই বলে ১০ রান তুললেও হার এড়াতে পারেনি রংপুর। ২ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। ৩১ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত ছিলেন সাইফউদ্দিন। দুর্বার রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন মিত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ম্যাচ সেরাও তিনি।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রাজশাহীর। দলীয় ৫৬ রানে ৬ উইকেট হারায় রাজশাহী। শেষ দিকে সানজামুলের ২৯ বলের অপরাজিত ২৮ রানে ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছিল রাজশাহী।
কেকে/ এমএস