বাংলার সংস্কৃতি বৈচিত্র্যময়। পিঠার কথা উঠতেই বাংলা মুলুকে পৌষ কথা আসে। পৌষের শীতে জমে ওঠে পিঠাপুলির আয়োজন। এরই ধারাবাহিকতায় দিনভর নানা আয়োজনে ব্লু-স্টার পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে দ্বিতীয়বারের মতো স্কুল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উৎসবে শিক্ষার্থীরা নিজ হাতে তৈরি করা বিভিন্ন ধরনের পিঠা নিয়ে ১৬টি স্টলে অংশগ্রহণ করে উৎসবকে আর্কষনীয় করে তুলেন।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ব্রিজের পাশে অবস্থিত ব্লু-স্টার পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয় যা চলে রাত পর্যন্ত।
ব্লু-স্টার পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ একেএম মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো. আবু হাতেম ও মো. আব্দুল মান্নান।
ব্লু-স্টার পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক সহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ এ উৎসব পরিদর্শন করেন। এসময় তারা শিক্ষার্থীদের চমৎকার এ আয়োজনে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং পিঠার স্বাদ গ্রহণ করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, পিঠা উৎসবে তারা নিজ হাতেই পিঠা তৈরি করেছেন। এর আন্দটাই অন্যরকম।
শীক্ষার্থীদেরকে দেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে ব্লু-স্টার স্কুল তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ অনুষ্ঠিত হয় পিঠা উৎসব। দেশি বাহারি পিঠা প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিশুদের দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করানো হয়।
ব্লু-স্টার পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক মো. আবু হাতেম বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, আমরা আমাদের এই ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের সেই সংস্কৃতির অংশ সম্পর্কে জানাতে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। প্রতি বছর এ উৎসব চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
পিঠা উৎসব উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকদের আগমনে স্কুল প্রাঙ্গণ মিলন মেলায় পরিণত হয়। নেচে-গেয়ে, হই-হল্লা করে সকলে দিনটি পার করেন। শিশুদের আবৃতি, গান, নৃত্য ও চিত্রাঙ্কন পিঠা উৎসবে আসা অথিতিদের মুগ্ধ করে।
কেকে/ এমএস