সবুজের মাঝে হলুদের আবরণে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে হলুদ সরিষা ফুলে ছেয়ে গেছে। সূর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গেই সরিষা ফুল সমারোহে হেসে ওঠে চারদিক। ফুলে-ফুলে মৌমাছিরাও মধু সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে। প্রকৃতির অলঙ্কার হয়ে উঠেছে হলুদ সরিষা ক্ষেত।
কৃষি অফিস জানায়, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে এ উপজেলায় সরিষার আবাদ হয়েছে ২ হাজার ১৪৭ হেষ্টর জমিতে। একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল ফলাতে কৃষিতে সকল ফসলের প্রণোদনার অংশ হিসেবে সরিষা ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিনামূল্যে ১৩ হাজার ৬০০ জন কৃষকের মাঝে সরিষার উফশী জাতের বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিকেলের মিষ্টি রোদে সরিষা ফুলগুলো বাতাসে দোল খেতে থাকে। ফুলগুলো তাদের কলি ভেদ করে সুভাষ ছড়িয়ে দিচ্ছে চারিদিকে। এ যেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের নিদর্শন। ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন নানা বয়সের নারী, পুরুষ, শিশুসহ বিনোদন প্রেমিরা। সরিষা মাঠ ঘুরে ঘুরে দেখছেন তারা। কেউ-কেউ দেখা যায় সেলফি তুলছেন।
কয়েকজন সরিষা চাষী জানায়, দেশি সরিষার চেয়ে বারি ও বিনার উদ্ভাবিত সরিষার জাতগুলোর ফলন বেশি হয়। আগ্রহী অনেকেই আমন ধান কাটার পর জমি পতিত না রেখে সরিষা চাষ করেছেন। এরপর আবার বোরো ধান রোপণ করতে পারবেন। এতে একই জমিতে বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন হচ্ছে। এতে লাভবান হওয়ার কথাও জানান তারা।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, উপজেলার ২ হাজার ১৪৭ হেক্টর জমিতে আবাদকৃত সরিষা কর্তন করে কৃষক পুনরায় ওই জমিতে বোরো ধান রোপন করবে। বন্যার কারণে এবার সরিষা আবাদ কিছুটা কম হলেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। আমরা কৃষকদের সর্বদা নানা পরামর্শ ও সহযোগীতা দিচ্ছি।
কেকে/ এমএস