জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করলেন দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর কমিটির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বাবুল।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের কারণ তুলে ধরেন তিনি।
এর আগে গত বছরের ১৭ অক্টোবর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগের পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পর বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান জাপার এই নেতা।
পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ২০ জুলাই আমি ব্যবসায়িক প্রয়োজনে লন্ডনের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করি। লন্ডন অবস্থানকালীন সময়ে বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের লক্ষ্যে দেশের ছাত্র সমাজের ১ জুলাই ২০২৪ থেকে ৪ দফা দাবিতে “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন” এর ব্যানারে পরিচালিত ন্যায্য আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করি। সদ্য ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার ছাত্র-জনতার এই আন্দোলন প্রতিহত করার জন্য সরকারের অনুগত পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী দিয়ে ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে স্মরণকালের ভয়াবহ গণহত্যা সংঘঠিত করে। পূর্বে এ দেশে কোনো আন্দোলনে এ ধরণের গণহত্যা সংঘটিত হয়নি।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, তৎকালীন সংসদের বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে ব্যর্থ হয়। দলের একজন দায়িত্বশীল সদস্য হয়ে আমি এ দায় এড়াতে পারি না। একজন সচেতন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসাবে আমার পক্ষে ফ্যাসিবাদী সরকারের অনুগত বাহিনীর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নিরস্ত্র এবং নিরাপরাধ মানুষ হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এই ঘৃণ্য অপরাধের প্রতি ধিক্কার জানিয়ে আমি জাতীয় পার্টির সকল দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাবুল বলেন, এখন আমি কোনো দলের সাথে যুক্ত নই। আমি আমার ব্যবসা ও পত্রিকা নিয়ে থাকতে চাই। আপাতত কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা নেই।
উল্লেখ্য, ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বাবুল জাতীয়তাবাদী তাতীদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। পরে জাতীয়পার্টিতে যোগদান করেন।
কেকে/এএম