মৌলভীবাজারের কুলাউড়া আন্তর্জাতিক সীমানা পার হয়ে এসে আহাদ মিয়া (৪৫) নামে এক বাংলাদেশিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ভারতীয় নাগরিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত রোববার রাতে নিহতের স্ত্রী জমিরুননেছা বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করে কুলাউড়া থানার ওসি গোলাম আপছার বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে খুনের এ ঘটনা ঘটেছে। এটি রাষ্ট্রীয় কোনো বিষয় নয়।
তিনি আরও বলেন, যে ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে তার স্ত্রীর বাড়িও ভারতীয় সীমানায় ছিল। বিয়ে হয়েছে সীমান্তের এ পাড়ে বাংলাদেশের সীমানায়। যে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে এটিও কাঁটাতারের এই পাশে। আমরা অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সদস্য শাহীন আহমদ জানান, ভারতীয় নাগরিক হায়দার আলীর সঙ্গে নিহত আহাদের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে জায়গা নিয়ে কী সমস্যা রয়েছে তা আমি স্পষ্টভাবে জানি না।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় আহাদ আলীর। একপর্যায়ে ভারতীয় নাগরিক হায়দার আলী ও তার সহযোগীরা আন্তর্জাতিক সীমানা রেখার ৫ গজ ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন আহাদকে। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় আহাদকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা কুলাউড়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট ওসমানি হাসপাতালে নিয়ে গেলে আহাদের মৃত্যু হয়।
আহাদ মিয়া কুলাউড়া উপজেলার দশটিকি ইউনিয়নের নয়াবস্তি গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইউসুফ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিএসএফের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি।
কেকে/এইচএস