বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৪৯% তরুণ, যারা আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দেবে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হলো, এই তরুণ সমাজ তামাক ও মাদকের ফাঁদে পড়ে নিজেদের মেধা ও কর্মদক্ষতা হারাচ্ছে। ফলে ফুসফুসের অসুখ, হৃদরোগ, এবং মস্তিষ্কজনিত সমস্যার মতো গুরুতর শারীরিক জটিলতায় ভুগছে তারা।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ড্রিম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, সিএসডাব্লিউপিডি ফাউন্ডেশন এবং ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিইং-এর যৌথ উদ্যোগে কৈবর্ত সভা কক্ষে “তামাক ও মাদক প্রতিরোধে তরুণদের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিইং-এর নির্বাহী পরিচালক ডেবরা ইফরইমসন, সিএসডাব্লিউপিডি ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট হাবিবুর রহমান এবং ড্রিম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রাখিল খন্দকার নিশান। সভাটি পরিচালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা মিঠুন বৈদ্য।
বক্তারা জানান, তামাক কোম্পানিগুলো নানা প্রলোভন দেখিয়ে তরুণদের তামাকজাত দ্রব্যের দিকে আকৃষ্ট করছে। সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কার্যক্রম, চাকরির মেলা, এবং চোরাচালানের আড়ালে তারা তাদের পণ্যের প্রচারণা চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে তামাকের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা হচ্ছে, যা পরবর্তীতে মাদকাসক্তির দিকে তাদের ধাবিত করছে।
বক্তারা উল্লেখ করেন, ধূমপান হলো মাদকাসক্তি তৈরির প্রথম ধাপ। তরুণরা একবার ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে ধীরে ধীরে তারা অন্যান্য মাদকদ্রব্য গ্রহণে আগ্রহী হয়ে ওঠে। তারা এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
সভায় উপস্থিত তরুণরা তামাক ও মাদক প্রতিরোধে তাদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা জানান, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রচারণা এবং নীতিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে তামাক ও মাদক প্রতিরোধ সম্ভব।
তরুণরা প্রতিশ্রুতি দেন, মাদক ও তামাক প্রতিরোধে তারা আরও উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবেন। তারা মনে করেন, সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং যথাযথ নীতি প্রয়োগের মাধ্যমে তরুণ সমাজকে রক্ষা করা সম্ভব।
সভা শেষে বক্তারা এবং অংশগ্রহণকারীরা একসঙ্গে তামাক ও মাদকমুক্ত একটি সমাজ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
কেকে/এএম