সাইবার মামলা থেকে খালাস পেলেন ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক নূরুল করীম আকরাম ও দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. গিয়াস উদ্দিন পরশ।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ২০১৮ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন (সংশোধনী ২০১৩)-এর ৫৭(২) ধারায় দায়েরকৃত একটি মামলায় তাদের খালাস দেন।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ রমনা মডেল থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের কোনো রকম অবগত না করেই পলাতক দেখিয়ে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর সাইবার ট্রাইব্যুনালে চার্জশিট দাখিল করেন। করোনাকালে জামিন আবেদন করলে উচ্চ আদালত তা শুনতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ২০২২ সালের ১৪ জানুয়ারি আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে সাইবার ট্রাইব্যুনাল তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। দীর্ঘদিন মামলাটি চলার পর আজ আদালত তথ্য ও উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে নূরুল করীম আকরাম ও গিয়াস উদ্দিন পরশকে খালাস প্রদান করেন।
এদিকে দুই নেতার খালাসে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর আমাদের দলের দুইজন সাবেক ছাত্র নেতার খালাস পাওয়ায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। স্বৈরাচারী সরকার প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। আদালতকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না দিয়ে নিজেদের অবৈধ কার্যক্রম বৈধ করতে বাধ্য করেছে। আমরা আর কোনো রাজনৈতিক হয়রানির পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না।আদালতকে স্বাধীনভাবে জাতির কল্যাণে ভূমিকা রাখতে হবে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দাবি করে, মামলাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাদের মতে, স্বৈরাচারী সরকারের নির্দেশে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে এ মামলা করা হয়েছিল। নেতারা আশা করছেন, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করে যাবে এবং ভবিষ্যতে আর কোনো রাজনৈতিক হয়রানির ঘটনা ঘটবে না।
কেকে/এজে