ঢাকার ধামরাইয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধানে ধামরাই সাব-রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এ সময় কমিশনের সদস্যদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের নানা অনিয়মের চিত্র।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ধামরাই সাব-রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধানে সমন্বিত ঢাকা জেলা-২ এর সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
এ সময় খাজনা রশিদ ছাড়া জমি রেজিস্ট্রি, অফিসের নির্ধারিত সময়ের পর খাস কামড়ায় বসে জমির দলিল করা, বায়না দলিলে মূল্য বেশি থাকলেও অবৈধ সুবিধা নিয়ে রাজস্ব ফাঁকির উদ্দেশ্যে সাব-কাবলা দলিলে মূল্য দেখানোসহ নানা অনিয়মের প্রমাণ মেলে। অভিযানে দেখা যায় পূর্বের দিনের ৬৪টি দলিলের মধ্যে ১২ দলিলের কোনো খাজনার রশিদ নেই।
তবে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি সবই চলে সাব-রেজিষ্ট্রারের সহকারী আব্দুর রহমান ও নকল নবিশ আব্দুল মান্নানের বদৌলতে। এসব অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে সম্পূর্ণ স্বীকার না করলেও কর্মকর্তাদের সামনে আংশিক অনিয়মের কথা স্বীকার সাব- রেজিস্ট্রার মো. মনজুরুল ইসলাম।
ধামরাই কালামপুর সাব রেজিস্টার মনজুরুল ইসলাম জানান, অনেক সময় রিকুয়েস্ট রাখতে হয়, এটা কিছুটা অনিয়ম হয়েছে তবে আমি আসার পর এ অফিসের অনেক অনিয়ম বন্ধ করেছি।
অফিসের সকল অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন সাব-রেজিস্ট্রারের সহকারী আব্দুর রহমান ও নকল নবিশ আব্দুল মান্নান।
দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা-২ এর সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ জানান, ধামরাই সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে বিভিন্ন দলিল লেখকদের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা আদায়, নামজারি বিহীন জমি দলিলসহ নানা অভিযোগ ছিল তাদের কাছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই আজ অভিযান পরিচালনা করা হয় ধামরাই সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে।
এ সময় দুদকের কর্মকর্তারা অনিয়ম ও দুর্নীতির সন্ধান পায়। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।
কেকে/এএম