শরীয়তপুরে এক মাদরাসা শিক্ষার্থী অপহরণের ৬ ঘন্টা পর উদ্ধার হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মাদারীপুর জেলার ভান্ডারীকান্দি ইউনিয়নের টেংরামারি বাজার থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শরীয়তপুর পৌর বাসস্ট্যান্ড এলাকার তালুকদার বাড়ির সামনের শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়ক থেকে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়।
অপহরণের শিকার শিশু আয়েশা শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরপালং এলাকার জাকির তালুকদারের মেয়ে। সে স্থানীয় দারুল উলুম ফোরকানিয়া কওমিয়া মাদরাসার শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মত আয়েশা মঙ্গলবার সকালে মাদরাসায় আসে। ছুটি হওয়ার পর বাসায় ফেরার পথে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শরীয়তপুর পৌর বাসস্ট্যান্ড এলাকার তালুকদার বাড়ির সামনের শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়কে পৌছালে দুই নারী ও এক পুরুষ আয়েশাকে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় দুপুরে পালং মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন শিশুটির পরিবার। পরে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মাদারীপুর জেলার ভান্ডারীকান্দি ইউনিয়নের টেংরামারি বাজার থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
আয়েশার চাচাতো ভাই বাপ্পি তালুকদার বলেন, অপহরণের পর মোবাইল নম্বর ও ছবিসহ আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিই। সেই পোস্ট দেখে ছবি মিলিয়ে টেংরামারি বাজারের স্থানীয় সোহরাব মাদবর আয়েশাকে পেয়ে আমাদের খবর দেয়। আমরা গিয়ে আয়েশাকে নিয়ে আসি। প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ অপহরণকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
তিনি আরো বলেন, আয়েশা চিৎকার করে কান্না করছিল তাই অপহরণকারীরা অটোরিকশা থেকে সড়কে ফেলে রেখে যায় তাকে।
টেংরামারি বাজার এলাকার সোহরাব মাদবর জানান, শিশুটি রাস্তায় দাড়িয়ে জোরে জোরে কান্না করছিল। পরে আমরা গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করি। ফেসবুকে পোস্ট দেখে শিশুটির পরিবারকে খবর দিই।
শরীয়তপুর শহরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, আয়েশার পরিবার একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছে। পরবর্তীতে জানতে পারলাম বিকালে মাদারীপুর জেলা থেকে শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
কেকে/এএম