সমকামিতাসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট বাতিল করে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এ সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর বিকেল ৪টার দিকে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তথ্য প্রমাণ দেওয়ার পরও প্রশাসন একটা প্রহসনমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। মনে হচ্ছে তাকে এক বছরে জন্য ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই, তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হোক। আমরা লম্পটমুক্ত ক্যাম্পাস চাই। দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা সংক্ষুব্ধ। উপাচার্য মহোদয়ের সাথে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। যেহেতু সামনে সিন্ডিকেটে বিষয়টি নিশ্চিতকরণ হবে, তাই শিক্ষার্থীদেরকে উপাচার্যের নিকট অ্যাপ্লিকেশন দিতে বলা হয়েছে। অ্যাপ্লিকেশনের আলোকে পরবর্তী সিন্ডিকেটে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা ও পূণর্বিবেচনা করা হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৭ অক্টোবর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী হেনস্তা, আপত্তিকর মন্তব্য, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, দাড়ি থাকলে শিবির ট্যাগ দিয়ে হেনস্তা, ইচ্ছাকৃতভাবে ফলাফল খারাপ করে দেওয়া, সমকামিতাসহ ২৭ দফা অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক আটকে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও তার কুশপুত্তলিকায় জুতা নিক্ষেপ ও কুশপুত্তলিকা দাহ করে শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্য অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রমাণ পায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৬তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট বাতিলসহ এক বছরের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কেকে/এএম