কেরানীগঞ্জে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টার সময় কেরানীগঞ্জের কোনাখোলায় এক পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ৬-৭ মাস আগে খুনি শেখ হাসিনার আমলে কেরানীগঞ্জে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এবং প্রজেক্টে চাঁদাবাজি ও বাণিজ্য চলত। ৫ আগস্টের পরও এখানে সেই একই অবস্থা চলছে। যারা আগে অভক্ত ছিল, তারা এখন দুর্বৃত্তের মতো বুভুক্ষ হয়ে উঠেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, কেরানীগঞ্জে সুন্দর রাস্তা থাকলেও রাস্তার পাশের খালগুলো ডাস্টবিন বা নর্দমায় পরিণত হয়েছে। অথচ এগুলো খনন করা হলে কেরানীগঞ্জ একটি পর্যটন স্পটে পরিণত হতে পারত।
তিনি বলেন, খাল খনন ও উন্নয়নের জন্য কেরানীগঞ্জে অসংখ্য বাজেট এসেছে। কিন্তু কিছু ভণ্ড পীর ও তাদের অনুসারীরা সেই বাজেট বিদেশে পাচার করেছে। এদের অনেকেই এখন জেলখানায় রয়েছে।
সারজিস আলম আরো বলেন, এই ভণ্ড পীরেরা বছরের পর বছর মানুষের উপর নির্যাতন, শোষণ এবং জুলুম চালিয়েছে। মানুষের জমি দখল করে রাজত্ব করেছে। এখন তারা দেশ ও বিদেশ থেকে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে বাংলার মানুষ জানে কীভাবে এই হায়নাদের প্রতিরোধ করতে হয়।
ছাত্র ও জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যেখানেই অন্যায়, জুলুম ও নির্যাতন দেখবেন, সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। কেরানীগঞ্জের মানুষ চাঁদাবাজি ও শোষণের হাত বদল দেখতে চায় না। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
কেকে/এএম