জুলাই বিপ্লবে আহত আরও ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে নেওয়া হচ্ছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ১১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে একটি ফ্লাইট তাদের নিয়ে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জুলাই আহতদের উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে চিকিৎসক টিম আনার পাশাপাশি যাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন তাদের দেশের বাইরে নেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য বিদেশে ২২ জনকে পাঠানো হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ছয়জনকে থাইল্যান্ড পাঠানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, যে ছয়জনকে পাঠানো হচ্ছে এর মধ্যে তিনজন সিএমএইচ ও তিনজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক হাসপাতালে তাদেরকে নেওয়া হচ্ছে। সিএমএইচে চিকিৎসাধীন তিনজন হলেন মোহাম্মদ ইসরাফিল (১৫), রোমান ঢালী (১৭) ও তাহসিন হোসেন (১৩)। এ তিনজনই আন্দোলনের সময় গুলিতে আহত হন। মোহাম্মদ ইসরাফিল বাম হাতে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তার বাম হাতের নার্ভ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। সেই সাথে ভেঙ্গে গেছে হাড়। মূলত রোবোটিক ফিজিওথেরাপির জন্যই তাকে নেয়া হচ্ছে।
রোমান ঢালি ও তাহসান হোসেনের গুলি লেগেছে পিঠে। এতে তাদের স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি হয়েছে। তারা হাঁটাচলা করতে পারছেন না। মূলত রোবটিক ফিজিওথেরাপির জন্যই তাদেরকে পাঠানো হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রাজিবের (৩৬) মাথায় গুলি লেগেছে, কিন্তু অপারেশনের পরও তার অবস্থা উন্নতি না হওয়ায় তাকে পাঠানো হচ্ছে। মিজানুর রহমান মুখে গুলিবিদ্ধ হন। তার মুখমণ্ডলের অবস্থা পরিবর্তিত হয়ে যায়। এ অবস্থায় অপারেশনের জন্য তাকে পাঠানো হচ্ছে।
হাফিজুর রহমান হাবিব পুলিশের গুলিতে স্পাইনাল কর্ডে ইনজুরি দেখা দেয়। তাকে রোবটিক ফিজিওথেরাপির জন্য ব্যাংকক হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। এরআগে গতকাল চোখের চিকিৎসার জন্য ইমরান হোসেন ও মহিউদ্দিনকে সিঙ্গাপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে চোখের চিকিৎসার জন্য সাতজনকে সিঙ্গাপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) আহতদের বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ডাক্তার মাহমুদুল হাসানের।
কেকে/এআর