ঢাকার আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত সুজন ইসলামের মরদেহ প্রায় ৬ মাস পর উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি ) দুপুরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতার গ্রামের কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়।
এসময় লালমনিরহাট সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শাফায়াত আখতারসহ হাতীবান্ধা থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
নিহত সুজন ইসলাম হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের শহিদুল ইসলাম ও রেজিয়া বেগমের সন্তান।
নিহত সুজন ইসলাম পড়াশুনার পাশাপাশি ঢাকা আশুলিয়া এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। গত ৫ আগস্ট সকালে ঢাকা আশুলিয়া এলাকায় পুলিশের গুলিতে সে নিহত হয়। ৬ আগস্ট ঢাকা থেকে তার লাশ নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়। এর ৫মাস ২৩ দিন পর আদালতে নির্দেশে লাশ উত্তোলন করা হয়।
নিহত সুজন ইসলামের বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন,আমার ছেলের লাশ উত্তোলন করেছে আমার কোন দুঃখ নাই। প্রকৃত অপরাধীদের বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদু-ন্নবী বলেন,গত ৫ আগস্ট ঢাকা আশুলিয়ায় নিহত হয়। এর পর ভিকটিম সুজন হোসেন পিতার দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
কেকে/ এমএস