বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ‘বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি। সম্প্রতি যেসব সংঘর্ষ হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সে জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা মাঠে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি এসব কথা বলেন।
ইজতেমার নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি জানান, আয়োজকদের ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী পুলিশের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের জন্য বিশেষ পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে সাদ ও জোবায়ের অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিনের মতবিরোধ থাকলেও এবার উভয় পক্ষের সমঝোতায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে বলে তিনি আশাবাদী।
জিএমপির কমিশনার ড. নাজমুল করীম খান বলেন, ‘এবারের ইজতেমায় নজরদারি আরো জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার, ২০টি মোবাইল টিম ও ২০টি চেকপোস্ট থাকবে। পুরো ইজতেমা মাঠ সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি ড্রোন ও হেলিকপ্টার টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
তিনি আরো জানান, ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মনজুরুল করিম রনি, ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এরপর আট দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাদপন্থিদের ইজতেমা শুরু হবে, যা ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
কেকে/ এমএস