ঢাকার ধামরাইয়ে ইসলামপুর এলাকায় সিফাত বেকারীতে চুরির অপবাদ দিয়ে আব্দুর রাহীম (৩২) নামে এক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধামরাই থানায় মামলা হয়েছে এবং অভিযুক্ত ০৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মনিরুল ইসলাম।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে মারধরের ঘটিনাটি ঘটে, সন্ধ্যায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। ধামরাইয়ের ইসলামপুরে সিফাত বেকারীতে কাজ করতেন আব্দুর রাহীম। তেল চুরি নিয়ে বাকবিতন্ডা হয় বেকারির একই কাজে কর্মরত অন্য শিফটের শ্রমিকের সাথে। এঘটনায় কয়েকজন মিলে মারধর করেন রাহীম ও তার সহযোগী আবিরকে। মারধরের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্ত্রী হালিমা আক্তার। নিহত আব্দুর রাহীম ব্রাক্ষণবাড়িয়া থানার মৃত শাহ আলমের ছেলে , সে ধামরাই পৌরশহরের লাকুরিয়া পাড়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
কারখানায় গিয়ে দেখা যায় আবীর নামের শ্রমিকের গায়ে আঘাতের চিহ্ন। আবিরকে ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে আবির জানায় তেল নিয়ে ওস্তাদের সাথে কথা কাটকাটি হলে আমাদের দুজনকে মারধর করে। ওস্তাদ বাড়ি চলে গেলে মাহাজন ওস্তাদকে ফোন দিয়ে আবার বেকারিতে নিয়ে আসে মিমাংসা করে দিবে এই মর্মে। পরে শুনি ওস্তাদের লাশ বাথরুমে।
নিহত রাহীমের স্ত্রী হালিমা আক্তার জানান, আমার স্বামীকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সিফাত বেকারির মালিক রায়হান ও ৬-৭ জন মিলে মারধর করে মেরে ফেলেছে। বেকারির স্টাফদের বাথরুমে পড়ে ছিলো আমার স্বামীর নিথর দেহ। আমার দুইটা সন্তান এতিম হয়ে গেলো আমি আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাই। আমার স্বামী যদি চুর হয় তাহলে তাদের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ার কথা।
নিহত রাহীমের মা কান্নারত কন্ঠে জানান, আমার চার মেয়ের পরে একটাই ছেলে। আর কোন মায়ের বুক যেন এভাবে খালি না হয়। আমার ছেলেকে যারা মেরেছে তাদের বিচার চাই
নিহতের শ্যালক ইউসুফ আলী ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানান, বিচারের কথা বলে ডেকে নিয়ে আমার দুলাভাইকে মেরে ফেলেছে। আমার বোনটা স্বামী হারা হয়ে গেলো আর আমার ছোট ছোট দুইটা ভাগ্নে ভাগ্নীর এখন কি হবে?
ধামরাই থানার ওসি জানান, এঘটনায় ভিক্টিম রাহীমের স্ত্রী ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আমরা অভিযান করে ০৭ জন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছি, এবং মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
কেকে/ এমএস