সীমান্তের অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সব ধরনের চোরাচালানসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে সীমান্ত জনপদের মানুষজনের অংশগ্রহণে জনসচেতনতা মূলক মতবিনিময় সভা এবং সীমান্তবর্তী জনসাধারণের স্বাস্থ্য সেবায় মেডিকেল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রতাপপুর বিওপির পাশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) আয়োজনে জনসচেতনতামূলক সভা এবং মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী, গোয়াইনঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ হাসান রিপন, পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুন পারভেজ, গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. করিম মাহমুদ লিমন, মধ্য জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. নূর মোহাম্মদ, নকশিয়া পুঞ্জির হেডম্যান ওয়েলকাম লম্বা, মাওলানা কামাল উদ্দিন।
আরো বক্তব্য রাখেন, পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ, মধ্য জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল হাসান প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্তে সুরক্ষা ও মানুষের জানমাল রক্ষায় জনসচেতনতামূলক বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
মতবিনিময় সভায় (৪৮ বিজিবি) সিলেটের অধিনায়ক লে. কর্নেল হাফিজ রহমান সীমান্ত জনপদের মানুষজনের উদ্দেশ্যে বলেন, এই দেশ সবার। দেশের মানুষের কল্যাণে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। বিজিবির পাশাপাশি সাধারণ জনগণ সজাগ থাকলে সীমান্তে অনুপ্রবেশ অনেকাংশে কমে যাবে।
এছাড়াও অবৈধভাবে প্রতিনিয়ত ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করানো হচ্ছে, এটি প্রতিরোধে বিজিবিকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, দেশের স্বার্থে বিজিবি নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সকলকে আইন মেনে চলার, সৎ জীবনযাপন করার এবং দেশের স্বার্থে বিজিবি, প্রশাসন, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থাকে সহায়তা করার অনুরোধ জানান। সকলে একত্রে সৎভাবে কাজ করলে দেশের উন্নতি অবশ্যম্ভাবী বলে তিনি আশাব্যাক্ত করেন।
এ সময় উপস্থিত অতিথিবৃন্দ শ্রমিকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতে পূর্বের মতো পাথর কোয়ারী খুলে দেওয়ার বিষয়টি বিজিবির মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে নেওয়ার আহ্বান জানান।
তারা বলেন, পাথর কোয়ারী বন্ধ থাকায় সীমান্তে চোরাচালান বেড়ে গেছে। এ উপজেলার সিংহভাগ শ্রমিক পাথর উত্তোলনের কাজে জড়িত। এখন পাথর উত্তোলনের অনুমতি না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে চলে যাচ্ছে। যার ফলে প্রাণহানিসহ ভারতে আটকের ঘটনা ঘটছে। তাই দ্রুত পাথর কোয়ারি খুলে দিলে চোরাচালানসহ অপরাধমুলক কর্মকাণ্ড অনেকটাই কমে যাবে।
সভা শেষে বিজিবির উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সীমান্তবর্তী এলাকা এবং প্রান্তিক এলাকা থেকে আগত নারী-পুরুষ ও শিশুরা বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ গ্রহণ করেন।
কেকে/এএম