থাই লটারী ও ভিসা প্রতারণায় জড়িত চক্রের মূল হোতা সাহাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করলেও নতুন মামলা না হওয়ায় চক্রের অন্যান্য সদস্যরা এখনো কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
পুলিশ সাহাবুলকে ২০২৪ সালের একটি পুরনো সাইবার নিরাপত্তা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত নতুন প্রতারণা কার্যক্রমের জন্য কোনো মামলা দায়ের না হওয়ায় চক্রের অন্য সদস্যদের কার্যক্রমে কোনো বাধা সৃষ্টি হয়নি।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সাহাবুল থাই লটারীতে বিজয়ী করানোর লোভ দেখিয়ে এবং জাল ভিসা প্রদান করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার অধীনে শতাধিক প্রতারক সক্রিয় রয়েছে।
এই চক্রটি কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুর, জলঢাকা, পার্বতীপুর, এবং তারাগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। ভুয়া ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে মানুষকে জিম্মি করাও তাদের একটি সাধারণ কৌশল।
সাহাবুলের দাপটে এলাকাবাসী আতঙ্কিত ছিল দীর্ঘদিন। নিতাই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাফিউল ইসলাম বলেন, তাদের দৌরাত্ম্যে জনগণ অতিষ্ঠ। এই প্রতারকদের রুখতে না পারলে আরও অনেক মানুষ নিঃস্ব হবে।
নাগরিক কমিটির সংগঠক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, সাহাবুলের মোবাইল ও কম্পিউটার থেকে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া গেলেও তার বিরুদ্ধে নতুন কোনো সাইবার আইনের মামলা হয়নি। এতে সে সহজেই জামিন পেয়ে যেতে পারে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুরোনো মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলে পাঠানোয় অল্প সময়ের মধ্যে তার জামিন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, আইনি জটিলতার কারণে নতুন মামলা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে থাই লটারী ও ভিসা প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এএম