শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫,
১৮ মাঘ ১৪৩১
বাংলা English

শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
শিরোনাম: সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান গ্রেফতার      ঝড়-তুফান যাই হোক না কেন, নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হতেই হবে: তারেক রহমান      জামালপুরে ট্রাক- সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ৫      বাংলাদেশে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস জাপানের      ভারতের বাঁধের কারণে আমাদের নদীগুলো শুকিয়ে গেছে: তারেক রহমান      পবিত্র শবে বরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি      চার কি.মি. হেটে টিউশনি করা তৌহিদ অনেকের প্রেরণার উৎস      
ইচ্ছেডানা
শ্রীমঙ্গলে ইতিহাসের সাক্ষী ‘ফিনলে রানওয়ে’
এহসানুল হক, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার)
প্রকাশ: বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:০৪ পিএম  (ভিজিটর : ৫২)
ছবি : প্রতিনিধি

ছবি : প্রতিনিধি

চা-শিল্পের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত শ্রীমঙ্গল তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যপূর্ণ স্থানগুলোর জন্য বিখ্যাত। এখানকার চা বাগান, রাবার ও অন্যান্য কৃষিপণ্য ছাড়াও রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান—‘ফিনলে রানওয়ে’। এই রানওয়ে এক সময় ছিল ব্রিটিশ আমলের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিমানের ওঠানামার স্থান, এবং আজও তা শ্রীমঙ্গলের ইতিহাসের অংশ হয়ে রয়েছে।

শ্রীমঙ্গল অঞ্চলটি চায়ের জন্য খ্যাত হলেও এর ইতিহাসও সমানভাবে সমৃদ্ধ। ১৮৩৯ সালে চায়ের চাষ শুরু হলেও ১৮৬০ সালে মৌলভীবাজার মহকুমায় প্রথম চা চাষ শুরু হয়। সে সময়ে দেশের চা শিল্পের যাত্রা শুরু হলেও ব্রিটিশরা শ্রীমঙ্গলে চায়ের চাষ ব্যাপকভাবে চালু করে। এরই অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ফিনলে কোম্পানি’, যা চায়ের উৎপাদন এবং বাগান প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

১৮৭১ সালে ইংল্যান্ডের ‘ফিনলে’ কোম্পানির সত্ত্বাধিকারী জন ম্যুর ভারতে এসে চা বাগান প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এই কোম্পানির অধীনে বিভিন্ন চা বাগান প্রতিষ্ঠা করেন এবং স্থানীয় কর্মীদের নিয়োগের পাশাপাশি বিদেশ থেকে আনা হয় চা উৎপাদনে দক্ষ বিদেশী কর্মী। তাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১৯৪৫ সালে শ্রীমঙ্গলে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ফিনলে রানওয়ে’ বা বিমান ধাবনপথ।

প্রথম দিকে, ফিনলে কোম্পানির ইংলিশ কর্মকর্তা ও টি প্ল্যান্টাররা এই রানওয়ে ব্যবহার করতেন এবং শ্রীমঙ্গলে তাদের যাতায়াত ছিল সহজতর। এটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা যা শ্রীমঙ্গলের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে সহায়ক ভূমিকা পালন করতো। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি আর ব্যবহৃত হয়নি, যদিও এটি এখনো শ্রীমঙ্গলের ইতিহাসের অংশ হিসেবে কীর্তিত রয়েছে।

বর্তমানে, ফিনলে রানওয়ে জায়গাটি আগের মত ব্যবহৃত না হলেও শ্রীমঙ্গলের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে। শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা চা বাগানের পাশেই অবস্থিত এই রানওয়ে, যা একসময় শ্রীমঙ্গল অঞ্চলের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র ছিল। দেশি ও বিদেশি পর্যটকরা এখানে এসে ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন।

২০০৪ সালে ফিনলে কোম্পানি বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর, এই রানওয়ে প্রাঙ্গণটি কাটাতারের বেড়ায় ঘিরে ফেলা হয় এবং এখন সেখানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে, পর্যটকরা এখনো এই ঐতিহাসিক স্থানটি দেখতে আসেন এবং শ্রীমঙ্গলের অতীতের স্মৃতি ধারণ করে রাখেন।

ফিনলে রানওয়ে আজও শ্রীমঙ্গলের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে টিকে আছে। এটি কেবল শ্রীমঙ্গল অঞ্চলের চা শিল্পের ইতিহাসের সাক্ষী নয়, বরং বাংলাদেশের চা শিল্পের অগ্রগতির প্রতীকও হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কেকে/এএম

আরও সংবাদ   বিষয়:  ফিনলে রানওয়ে   শ্রীমঙ্গল  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

আক্কেলপুরে নারী ফুটবল ম্যাচের আগে ভাঙচুরের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন
সমন্বয়ক আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের মেসে ঢুকে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলা, আহত ৮
আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি আল ফারুক ও আল মাসুদ সাধারণ সম্পাদক
ক্যাসেট বিক্রেতা থেকে কোটিপতি সাদ্দাম
মোহাম্মদপুরে আলোচিত কিশোর গ্যাং কবজি কাটা গ্রুপের ৪ সদস্য আটক

সর্বাধিক পঠিত

কুবি শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে লিখিত অভিযোগ
থাই গেম ও ভিসা প্রতারকদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন
নামাজ থেকে বের হয়ে গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্য, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জিলানীর কুল বাগান উদ্বোধন
চার কি.মি. হেটে টিউশনি করা তৌহিদ অনেকের প্রেরণার উৎস
সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝