চাঁদাবাজির ভুয়া অভিযোগে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. রকিবুল হাসান খান রাসেলকে কেন্দ্র থেকে শোকজ করা হয়েছে। যার কাছে রাসেল চাঁদা চেয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি নিজেও এ বিষয়ে কিছু জানেন না। এমনকি থানায় দেওয়া অভিযোগপত্রটিও ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৯ জানুয়ারি রাসেলের চাঁদা দাবির অভিযোগে ভালুকা থানায় একটি অভিযোগ করেন মোশাররফ হোসেন বাহার নামে এক ব্যক্তি। তবে অভিযোগপত্রে অভিযোগকারীর মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর নেই। কোনো তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম বা নম্বরও দেওয়া হয়নি। এক সপ্তাহ পার হলেও থানার কোনো কর্মকর্তা রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
অভিযোগে নাসির ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নাম এবং একজন ইঞ্জিনিয়ারের কথা উল্লেখ থাকলেও সেই প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার আরাফাত জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই।
তিনি বলেন, কেউ আমার কাছে চাঁদা চায়নি। থানার কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
অডিও প্রমাণে অভিযোগকারী বাহার নিজেই বলেছেন যে, তিনি এ ধরনের কোনো অভিযোগ করেননি এবং চাঁদাবাজির বিষয়ে কিছুই জানেন না।
ভালুকা উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. রকিবুল হাসান খান রাসেল বলেন, ভরাডোবা গ্রামের বাহার ও মোস্তাফিজ সাবেক এমপির ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতেই মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। থানার অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভুয়া। এখনও থানার কোনো কর্মকর্তা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
তিনি আরো জানান, তিনি ইতোমধ্যে বাহার ও মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামছুল হুদা খান বলেন, কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করা হয়। এখানে রাজনৈতিক বিষয় থাকতে পারে। ফাইল দেখে বলতে পারব আসল ঘটনা কী।
যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, অভিযোগ আসার পরই রাসেলকে শোকজ করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ ভুয়া প্রমাণিত হলে শোকজ প্রত্যাহার করা হবে।
কেকে/এএম