ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার পটুয়াপাড়া এলাকার বাদল নামে এক ব্যাক্তিকে হত্যার দায়ে মিজানুর রহমান সহ চার জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আবুল মনসুর মিঞা এই রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত চার জনের মধ্যে তিনজন আসামি পলাতক রয়েছে।
যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত অন্যান্য পলাতক আসামিরা হলেন, পীরগঞ্জ উপজেলার পটুয়াপাড়া গ্রামের আনছারুল ইসলামের ছেলে আফছার আলী, রাণীশংকৈল উপজেলার মধ্যবনগাঁও গ্রামের মো. বাবুল হোসেনে ছেলে মো. সাগর ও মো. সুমন ।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণের বরাতে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি এ্যাড. আব্দুল হালিম জানান, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারি পটুয়াপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের সাথে আপন বড় ভাই মোখলেছুর রহমানের দির্ঘদিন ধরে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। বড় ভাই মোখলেছকে হত্যা করলে পিতার সমস্ত সম্পত্তি নিজের হবে ভেবে আপন ভাই মোখলেছকে হত্যার জন্য আফছার আলী, সাগর ও মো. সুমনের সাথে ২ লক্ষ টাকার চুক্তি করে মিজানুর। সেই অনুযায়ী গত ২০১৩ ইং সালের ১০ জুলাই রাত সাড়ে দশটার দিকে হাজিপুর পটুয়াপাড়া কাচা সড়কের হাজিপুর এলাকায় মোখলেছকে হত্যার উদ্দ্যেশে অপেক্ষা করে আসামীরা। কিন্তু ঠিক ওই সময় বাদল সেই মাটির রাস্তা দিয়ে তার বন্ধু রাজেন্দ্র নাথের ছেলের অন্ন প্রাসনের দাওয়াত খাওয়ার উদ্দ্যেশে যাচ্ছিলেন। এসময় ওৎ পেতে থাকা আসামীরা অন্ধকারে ভুল করে বাদলকে মোখলেছ ভেবে গলাকেটে হত্যা করে মরদেহ পার্শবর্তী আখক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে বাদলের পরিবার ও পুলিশে খবর দেন। এবিষয়ে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হলে মৃত বাদলের বড়ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১৩ সালের ১১ জুলাই পীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করে। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দেয় মিজানুর এবং এর সাথে জড়িতদের নাম প্রকাশ করে। সেই মতে থানা পুলিশ মিজানুর সহ ৪ জনের নামে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ স্বাক্ষ্য প্রমান শেষে হত্যার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আদালত তাদের ঐ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
কেকে/ এমএস