দেশের সবজি উৎপাদনের অন্যতম জেলা হিসেবে ধরা হয় টাংগাইলে ধনবাড়ী উপজেলাকে। উত্তরাঞ্চলের জেলায় প্রতি বছর যে পরিমাণ সবজি উৎপাদন হয় তার থেকে ধনবাড়ী উপজেলায় বেশি হয়। আশেপাশের জেলার চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করা হয় সারাদেশের। বিশেষ করে বেগুন, পটল, সিম, আলু, শসা, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি বছরজুড়েই চাষ হয়ে থাকে ধনবাড়ী উপজেলাতে।
এবার সেই উৎপাদিত সবজি তালিকায় যুক্ত হয়েছে রঙিন ফুলকপি। ধনবাড়ীর বেশ কয়েকটি সবজির মাঠেই চাষ হচ্ছে বেগুনি এবং হলুদ রঙের ফুলকপি।
সাধারণ সাদা ফুলকপির তুলনায় রঙিন ফুলকপি চাষ খুব সহজ। চাষ পদ্ধতির তেমন একটি তফাত না থাকলেও খরচ লাগে কম।
ফলে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে এসব কপি। হলুদ ও বেগুনি রঙের এসব কপির তুলনামূলক চাহিদাও রয়েছে অনেক বেশি। কেউ নতুন বলেই আগ্রহভরে কিনছেন আবার কেউ পুষ্টিগুণ বিবেচনায় কিনে খাচ্ছেন এসব ফুলকপি। তাই অনেক ক্ষেত্রেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে মাঠ থেকেই।
ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়নের কৃষক নাজমা এবার প্রথম বারের মতো চাষ করেছেন রঙিন ফুল কপি। প্রায় ১২ শতক জমিতে হলুদ ও বেগুনি রংঙের কয়েকশ গাছ লাগিয়েছিলেন তিনি। প্রথম বার হলেও ফলনও হয়েছে বেশ ভালো।
কৃষক নাজমা বলেন, এসব কপির সবচেয়ে বড় গুন হচ্ছে সার, সেচ ও কীটনাশক তুলনামূলক অনেক কম প্রয়োজন হয়। সাদা ফুলকপিতে যা অনেক বেশি প্রয়োজন হয়। কৃষক যদি এই রঙিন কপি চাষ করতে চায় তাহলে বড় অঙ্কে লাভবান হওয়া সম্ভব রয়েছে। এই মৌসুমে শুরুতেই একেকটি কপি বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। যদিও খুচরা বাজারে এসব কপির দাম আরো বেশি।
ধনবাড়ী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, অন্য কপির চেয়ে রঙিন ফুল কপির স্বাদ অনেক বেশি। আর নতুন হওয়ায় ভোক্তার কাছে চাহিদা রয়েছে প্রচুর। তাই বাজারজাতের ঝামেলা কম। কেবল নওগাঁ জেলার অন্তত বেশ কয়েক জন চাষি এবার রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন। আগামীতে এই সংখ্যা আরো বাড়বে বলেও আশা করেন তিনি।
ধনবাড়ী উপজেলার কৃষি উপসহকারী ফরিদ উদ্দিন জানান,শুধু মুশুদ্দি ইউনিয়ন নয় আশপাশের ইউনিয়ন গুলোতেও রঙিন ফুলকপিতে আগ্রহ বাড়ছে দিন দিন।
কেকে/ এমএস