প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১:৩৩ পিএম (ভিজিটর : ৫৫)
ছবি: জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগকে প্রতিরোধে সক্রিয় থাকবে ছাত্রদল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন ছাত্রদল সম্পাদক।
নাসির উদ্দিন বলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে যে দুই হাজারের অধিক মুক্তিকামী মানুষ শহিদ হয়েছে, তাদের সবাইকে পুলিশ বা সরকারি বাহিনী হত্যা করেনি। নিষিদ্ধঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের ক্যাডাররা প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে অসংখ্য মানুষ খুন করেছে। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান চলাকালীন গণহত্যায় ফ্যাসিস্ট পলাতক খুনি হাসিনার নির্দেশে কসাই-জল্লাদের ভূমিকা পালন করেছে ছাত্রলীগ। গণহত্যার আগেও সারা দেশে বিশ্বজিৎ, আবরার থেকে শুরু করে ছাত্রলীগ যত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সবগুলো নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন মিলেও এত মানুষ খুন করেনি।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের খুনি, সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনার কোনো জোরাল তৎপরতা গ্রহণ করেনি। ছাত্রলীগের শীর্ষ কোনো নেতাকে বা সন্ত্রাসী ক্যাডারকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। ছাত্র-জনতা নিজেরা কয়েকজনকে আইনের হাতে তুলে দিয়েছে। সরকারের এই ব্যর্থতার কারণেই নিষিদ্ধ খুনি সংগঠন ছাত্রলীগ প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করার সাহস পেয়েছে। খুনিদের বিচারের ক্ষেত্রে সরকারের নির্লিপ্ত আচরণের কারণেই তারা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাচ্ছে।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণকারী ছাত্রলীগের প্রতিটি সন্ত্রাসীকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন ছাত্রদল সম্পাদক। তিনি বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের সব কর্মসূচি এবং গোপন তৎপরতা প্রতিহত করার দায়িত্ব সরকারের। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হাত থেকে ছাত্র-জনতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বও সরকারের। সরকার তাদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হলে ছাত্র-জনতা জুলাই-আগস্টের মতোই আবারও রাজপথে নেমে ছাত্রলীগকে প্রতিরোধ করবে।
তিনি আরও বলেন, শহিদ আবু সাঈদ, ওয়াসিম আকরাম, মুগ্ধ, রাব্বি, রিয়া গোপ, রিদয় তারুয়াসহ হাজারো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণ-অভ্যুত্থানের সফলতা অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আমরা জুলাই-আগস্টের বীর শহিদদের আত্মত্যাগ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ।
কেকে/এআর