চলন্ত ট্রাকে তরুণীকে ধর্ষণ, চালকের আমৃত্যু কারাদণ্ড
এইচ এম আলমগীর কবির, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:৫৪ পিএম আপডেট: ৩০.০১.২০২৫ ৩:০৮ পিএম (ভিজিটর : ১১২)
ছবি : প্রতিনিধি
৪ বছর আগে সিরাজগঞ্জের চলন্ত ট্রাকে মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণীকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগে চালক সোহেল রানাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক। এ সময় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ট্রাকচালক সোহেল রানা (৩২) বগুড়া সদর উপজেলার আশুখোলা গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে।
সিরাজগঞ্জে নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি দেশে করোনা ভাইরাস চলাকালীন সময়ে চন্দ্রা থেকে ভিকটিমসহ ২ জন পুরুষ যাত্রী নিয়ে ড্রাইভার সোহেল রানা এবং হেলপার ওহাব শেখ ট্রাকযোগে বগুড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পার হয়ে ট্রাক থামিয়ে ড্রাইভার বলে ট্রাকটি নষ্ট হয়েছে। সারতে অনেক সময় লাগবে। এতে পুরুষ যাত্রী ২ জন নেমে যান। তবে যাত্রী রিমি ট্রাকের কেবিনের মধ্যে ছিলেন। পরে কেবিনের ভেতরে ড্রাইভার সোহেল রানা ভিকটিমকে জোর করে ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকার শুনে ঐ ট্রাকের ১ জন পুরুষ যাত্রী ঘটনাটি তার মোবাইলে ভিডিও করেন। এটা আসামীরা দেখে দ্রুত ভিকটিমসহ ট্রাক নিয়ে বগুড়ার দিকে চলে যান। তখন ইউনুস আলী সুমন-১৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে, কড্ডার মোড় নামক স্থানে ২ জন আসামী এবং ভিকটিমসহ ট্রাকটি আটক করা হয়।
তাদের সবাইকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় নেবার পর ভিকটিমের বাড়িতে খবর দেন। পরে তার বাবা এবং ভাই থানায় আসেন। তারা ভিকটিমের কাছে ঘটনা শুনে ভিকটিমের বাবা মো. আলতাফ হোসেন খান অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করার পর ট্রাক ড্রাইভার সোহেল রানা স্বেচ্ছায় নিজের দোষ স্বীকার দেয়। দীর্ঘ শুনানী শেষে আজ আদালত এই রায় ঘোষণা দেন। এরআগে ২০২৩ সালের ১২ মে আসামী ওহাব কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন।
কেকে/এএম