খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, জুলাই গণহত্যার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কোনো অপতৎপরতা জনগণ সহ্য করবে না।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই মন্তব্য করা হয়।
বৈঠকে নেতারা বলেন, গত ১৫ বছরে অসংখ্য গুম ও খুনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে শীর্ষ নেতাকর্মীরা জড়িত। হাজার হাজার নিরপরাধ ছাত্র-জনতাকে হত্যা এবং বহু মানুষকে পঙ্গু করে ফেলা হয়েছে। এরপরও খুনিরা দাম্ভিকতা প্রদর্শন করছে। এ ধরনের ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না।
বক্তারা উল্লেখ করেন, সম্প্রতি হিউম্যান রাইট্স ওয়াচের প্রতিবেদনে শেখ হাসিনা নিজেই গুম ও হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। পলাতক খুনীরা প্রকাশ্যে দেশ অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।
খেলাফত মজলিস দাবি জানায়, শেখ হাসিনাসহ সকল পলাতক আসামীকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
নেতারা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক বিভেদ দেশবিরোধী অপশক্তির রসদ যোগান দেয়। তাই বিভেদ নয়, ঐক্যের মাধ্যমে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে কাজ করতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আমীরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, মাওলানা সৈয়দ ফেরদাউস বিন ইসহাকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
কেকে/এএম