টিনের তৈরি জরাজীর্ণ ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন পিতা-মাতাহীন ও স্বামী পরিত্যক্তা দুই বোন ছকিনা ও শামেলা খাতুন। বড় বোনের দেওয়া মাত্র পাঁচ শতক জমিতে আশ্রয় নেওয়া এই দুইজনের জীবনে অভাব-অনটন ও বৃষ্টির দিনগুলো যেন এক অনন্ত যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সতেরো বছর আগে ছকিনা স্বামী পরিত্যক্তা হন। পরে শামেলাকে এক বাদাম বিক্রেতার সঙ্গে বিয়ে দিলেও তার অবস্থাও একই রকম হয়। শুরুতে মাটি কাটার কাজ এবং বাজারের হোটেলে রান্না করে সংসার চালালেও শামেলার অসুস্থতা ও কাজের অভাবে বর্তমানে চরম দুঃসহ অবস্থার মধ্য দিয়ে দিন কাটছে তাদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝুপড়ি ঘরের ভেতরে ভাঙা একটি খাটে জীর্ণ শরীরে শুয়ে আছেন অসুস্থ শামেলা। পাশেই বাঁধা রয়েছে তাদের একমাত্র সম্বল দুইটি ছাগল। বৃষ্টি হলেই ঘরের ভেতর ভিজে যায় কাঁথা-কাপড় এবং বাসনকোসন।
দুই বোনের একজন, ছকিনা জানান, বাজারে রান্নার কাজ করতাম। মাটি কাটার কাজও করতাম। কিন্তু এখন কয়েক মাস ধরে কোনো কাজ নেই। চাল কিনতেও পারি না। শামেলার চিকিৎসা করানোর জন্য টাকা নেই। সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম, তারা বড় ডাক্তার দেখাতে বলেছে। কিন্তু সেটাও পারছি না।
প্রতিবেশী মোস্তফা লস্কর বলেন, চালের অভাবে মাঝে মাঝে না খেয়ে থাকতে হয়। আমরা চাল-ডাল দিলে তবেই খেতে পারে। বিত্তবানরা যদি সাহায্য করতেন, তাহলে তাদের জীবনটা একটু ভালো হতো।
আড়পাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিপন লস্কর বলেন, আমার পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করি। তবে তাদের দীর্ঘমেয়াদি সহায়তার জন্য সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন।
কেকে/এএম