ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর আসামি ছিনতাইয়ের সাথে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারী) রাতে আটককৃত আসামির নাম ফারুক হোসেন বাকু। বিষয়টি নিশ্চিত করে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোতালেব হোসেন।
ফারুক হোসেন বাকু ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান ওরফে নিকসন চৌধুরীর ডান হাত বলে পরিচিত। সে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার আমলে জবরদখল, চুরি ছিনতাই, মাদক কারবারের সাথে জড়িত ছিল। বিভিন্ন মহল থেকে চাদাঁবাজী, টেন্ডারবাজী ছিল তার নিত্যদিনের কাজ। ফারুক হোসেন বাকু আটরশি এলাকার সাড়ে সাতরশি গ্রামের মৃত মানিক মল্লিকের ছেলে।
এ বিষয়ে সদরপুর থানা পুলিশ জানায়, ফারুক হোসেন বাকু পাশ্ববর্তী ভাঙ্গা থানার দুর্বৃত্তকারী লোকজন নিয়ে সদরপুর থানার বিভিন্ন গ্রামে নিজের শক্তি জাহির করার জন্য প্রতিনিয়ত এলাকায় মহড়া দিয়ে আসছিল। এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন এসআই মো. রাছেল শেখ।
“বাকুকে আটকের পর থেকেই তাকে মুক্ত করতে সদরপুর উপজেলার স্থানীয় বিএনপির নেতা মো. বাহালুল মাতুব্বরের নেতৃত্বে একটি অংশ থানায় ছুটে আসেন। রাত সাড়ে ৭টার দিকে কাকতালীয় ভাবে আটককৃত বাকু অসুস্থ্যতার কথা জানালে স্থানীয় বিএনপির নেতা বাহালুল মাদবর তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।”
“ওই সময় থানার এসআই হাদীউজ্জামান ও কনস্টেবল দিয়ে বাকুকে চিকিৎসার জন্য রাত ৮টার দিকে সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাইদুল হাসান শাওন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন। হাসপাতালের রেজিস্ট্রেশনে সিরিয়ালে দেখা যায় ৩১৯/১৪। হাসপাতাল থেকে বের হলেই বাকুর লোকজন পুলিশের হাত থেকে তাকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে একটি প্রাইভেট কারে উঠিয়ে নিয়ে যায়।”
এসআই হাদীউজ্জামান বলেন, আমি ও একজন কনস্টেবল ছিলাম। বাকুর প্রায় বিশ পঁচিশ জন লোক ছিল। আমার নিকট থেকে তারা তাকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোতালেব হোসেন জানান, পুলিশের নিকট থেকে আটকৃত ফারুক হোসেন বাকুকে যারা ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। তাকে আটক করতে থানা পুলিশের অভিযান চলছে।
সদরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক বাহালুল মাতুব্বর জানান, বাকুর ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমি তাকে ছাড়াতে কেনো আসবো। সে আমাকে আগে থেকেই গালাগালি করে আসছে। একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলেও দাবি করেন বাহালুল মাতুব্বর।
কেকে/এজে