ভোলার চরফ্যাসনে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর ভেঙে মালামাল চুরির অভিযোগ উঠছে জাহানপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.মামুন হোসেন রাজুসহ তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতের আধাঁরে ট্রলার দিয়ে বিক্রির জন্য মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রলারের মাঝি মো. নুরনবীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।
ট্রলারসহ আটককৃত মাঝি নুরনবী ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মজিবল গাজীর ছেলে। আশ্রয়নের ঘর ভেঙ্গে মালামাল চুরির ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে জাহানপুর ইউনিয়নের তহশিলদার আবুল কাশেম বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ৫ জনসহ অজ্ঞাত ৪ জনকে আসামী করে শশীভূষণ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার রাতে শশীভূষণ থানার জাহানপুর ইউনিয়নের চর হাসিনা গ্রামের আশ্রয়ন প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শশীভূষণ থানার জাহানপুর ইউনিয়নের চর হাসিনা গ্রামের গৃহহীন আশ্রিতদের জন্য ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই ঘরগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় আশ্রীতরা অন্যত্র চলে যায়। এ সুযোগে জাহানপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মামুন রাজ ও তার চাচা নাসির মাঝিসহ ১০/১২ জনের একটি চক্র রাতের আধাঁরে ওই ঘরগুলো ভেঙে লোহার এ্যাংগেল ও টিন বিক্রির জন্য ট্রলারে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্ধারা ছাত্রদল নেতা মো. মামুনসহ অপরাধীদের আটকের চেষ্টা করলে তারা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা ট্রলার ভর্তি লোহার মালামালসহ ওই ট্রলারের মাঝি নুরনবীকে আটক করে থানায় খবর দেন। রাতেই শশীভূষণ থানা পুলিশ চোরাই মালামাল জব্দ করেন এবং ট্রলারসহ মাঝি নুরনবীকে আটক করেন।
অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা মামুন জানান, কে বা কাহারা আশ্রয়নের ঘর ভেঙে নিয়ে যায় এমন খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মালগুলো জব্দ করে পাঁচ কপাট বাজারে নিয়ে আসি। চুরির সাথে আমি জড়িত নই।
শশীভূষণ থানার ওসি তারিক হাসান রাসেল জানান, আশ্রয়নের ঘর ভেঙে মালামাল চুরির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃত ট্রলারের মাঝি নুরনবীকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
কেকে/এজে