গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ ওহাব খান খোকাকে (৬৫) এলাকায় পিটিয়ে আহত করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্হানীয় দুর্বত্তরা।
৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১টায় উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটেছে।
চেয়ারম্যানের স্ত্রী লাইলী বেগম জানায়, চাঁদা না দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।
আটককৃত চেয়ারম্যান এম এ ওহাব খান খোকা কাপাসিয়া উপজেলার খিলগাঁও গ্রামের মৃত মোফাজ্জল হোসেন টর ছেলে। তিনি দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান।
কাপাসিয়া থানার ডিউটি অফিসার এস আই মোহাম্মদ আব্দুল হালিম জানান, চেয়ারম্যান এম এ ওহাব খান খোকা এখন থানায়। তাকে এলাকার কতিপয় উশৃংখল যুবকরা ধরে থানায় সোপর্দ করেছে।
চেয়ারম্যান এম এ ওহাব খান খোকার স্ত্রী লাইলী বেগম জানান, আজ সকাল ১১টা থেকে ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত ছিলেন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমার স্বামী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিল। গত ৫ তারিখের পরে যারা বর্তমানে ক্ষমতায় আছেন তাদের লোকজন দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। চাঁদা না দেওয়ায় আজ তাকে ইউনিয়ন পরিষদ গিয়ে মারধর করে। এতে আমার স্বামী গুরুতর আহত হন। আমার স্বামীর কাছে থাকা নগদ ৮০ হাজার টাকা, ৩ লক্ষ টাকার সাক্ষরিত চেক, একটি মোবাইল ফোন সন্ত্রাসীরা নিয়ে যায়। পরে আমি ন্যায় বিচার চাই।
ইউনিয়ন পরিষদের একজন জানান, সকাল ১১টা দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ ওহাব খান পরিষদে আসেন। এসে তিনি অফিসিয়াল কাজকর্ম করেন। তিনি প্রায় ২ ঘন্টা পরিষদে বসে কাজ করেন। তিনি ১টার দিকে পরিষদ এসে কিছু যুবক মারধর শুরু করেন। এ সময় তিনি মাটিতে লুটিযে পরেন। এতে তার মাথা চোয়ালের ডান কোনায় রক্তাক্ত জখম হয়।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সি মো. কামাল হোসেন জানান, কাপাসিয়া উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ ওহাব খান খোকাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নামে কাপাসিয়া উপজেলার যুবদলের সদস্য সচিব জুনায়েদ হোসেন লিয়ন বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় গত বছরের ২৩ অক্টোবর একটি মারামারির মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলার তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
চাঁদা না দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ সঠিক কিনা জানতে চাইলে ওসি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। জনতা কেন আটক করেছে তা আমার জানা নেই।
কেকে/এএম