চলতি মৌসুমে বোরো ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে পটুয়াখালীর দশমিনায় প্রথমবারের মত সমলয় পদ্ধতিতে বোরো চাষের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় উপজেলার বাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে ফসলের মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদ্ধতিতে ধান আবাদ উদ্বোধন করেন মো. খায়রুল ইসলাম মল্লিক জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার খামারবাড়ি পটুয়াখালী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইরতিজা হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলার অতিরিক্ত উপপরিচালক (পিপি) এইচ এম শামীম।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের কৃষি প্রণোদনার আওতায় উপজেলার ইউনিয়নের গছানী গ্রামে ৮০ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে রাইস-ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ। সমলয়ের শ্রম সাশ্রয় করা। সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদের ফলে ভিন্ন সময়ে ফসল রোপণের কারণে ফসলের রোগ পোকা মাকড়ের নানা জটিল বিরম্বনা দূর হবে এবং একই সময়ে আবাদের সময় যে কোনো বিপদে একযোগে কাজ করে সহজেই মোকাবেলা করতে পারবে এই পদ্ধতিতে বীজতলা ও ধানের চারা রোপণে ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি।
ফলে জেলার কৃষিতে খুলছে এক নতুন দুয়ার। প্রচলিত রীতিতে বীজতলা তৈরি না করে জমি ও সময় অপচয়রোধে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের যুগোপযোগী পদ্ধতি হচ্ছে ‘সমলয়’ চাষ। স্বল্প জমিতে প্লাস্টিকের ফ্রেম বা ট্রে-তে লাগানো যায় ধানের বীজ। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা হয়। রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করলে সময় কম লাগবে। এছাড়া ধান পাকলে সেই ধান যন্ত্রের সাহায্যে কেটেও দেওয়া হবে। এতে করে কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমবে ও শ্রমিক সংকট দূর হবে। কৃষকরা অধিক উৎপাদনের মাধ্যমে আরও বেশি লাভবান হবেন।
সমলয়ের টিম মো. ফারুক হোসেন বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে কৃষিজমিতে ধান আবাদ করছি। কিন্তু এ পদ্ধতিতে আগে কখনো আবাদ দেখিনি। প্রথমবারের মতো কৃষি কার্যালয়ের আগ্রহে এবং তাদের সহযোগিতায় সমলয় পদ্ধতিতে বোরো চাষাবাদ করছি। আশা করছি ফলন ভালো হবে। ফলন ভালো হলে কৃষকদের আগ্রহও বাড়বে বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহমেদ বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়ানো প্রয়োজন, সমলয়ে চাষাবাদের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারসহ বোরো ধানের উৎপাদন খরচ কমানো, শ্রমিক সংকট নিরসন ও সময় সাশ্রয় সম্ভব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পটুয়াখালী সদর কৃষি কর্মকর্তা পটুয়াখালী সদর কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাউফল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মিলন, দুমকি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আল মামুন ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেনসহ শতাধিক কৃষক কৃষাণী প্রমুখ।
কেকে/এজে