শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ও শাবিপ্রবি সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম। এ সময় শাবি পরিবারের পক্ষ অধ্যাপক আমিনুল ইসলামকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে মতবিনিময় ও সংবর্ধনার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী।
মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যত ভালবাসা পেয়েছি তা আর কোথাও পাইনি। পাশাপাশি আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে যত ভালোবাসি এমন করে আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবাসিনি। এই ভালোবাসা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে। আমর সময়ে বনায়ন ও ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতার জন্য পরপর দুইবার পুরস্কার পেয়েছিলাম। অর্থনৈতিক স্বচ্ছতায় আমার এই বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাল অবস্থানে।
উপস্থিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন আমাদের দেশের জন্য কাজ করতে হবে। দেশপ্রেম হল সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধের শিক্ষা দেবেন। আগামীতে ক্লাস ওয়ান থেকে মূল্যবোধের শিক্ষা সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করব। শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করব। আমরা আর শিক্ষিত বেকার তৈরি করতে চাই না।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি স্যারের কাজগুলো অনুসরণ করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাব। সাস্টকে সেন্টার অফ এক্সিলেন্স করার জন্য স্যারের পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা পাব। স্যার যেন সারা দেশে শিক্ষার জন্য ভালো কিছু করেন এই কামনা করি।
মতবিনিময় ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. সাজেদুল করিম ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ইসমাইল হোসেন।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক মো. নিজাম উদ্দিন, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহমদ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, দপ্তর প্রধান, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।
এদিকে বিকাল ৪টায় শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট সমাদানের লক্ষ্যে ১০০০ আসন বিশিষ্ঠ দুইটি ১০ তলা হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম।
কেকে/এএম