যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মাঝ আকাশে সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টার এবং যাত্রীবাহী বিমান সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে রিগ্যান ওয়াশিংটন জাতীয় বিমানবন্দরের কাছে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি আঞ্চলিক যাত্রীবাহী বিমানের সাথে মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। তবে দেশটিতে ভয়াবহ এমন বিমান দুর্ঘটনা এই প্রথম-ই নয়, বরং বিগত ২৫ বছরে বেশ কয়েকবার এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
২০০১ সালের নভেম্বরে নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ডোমিনিকান ‘এ-৩০০’ মডেলের একটি এয়ারবাস রিপাবলিকের উদ্দেশ্যে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই বিধ্বস্ত হয়। ফ্লাইটে থাকা ২৬০ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন এবং কুইন্সে মাটিতে আরও পাঁচজন মারা যান।
২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ঘটে সবচেয়ে বড় বিমান হামলার ঘটনা। বোস্টন থেকে ছেড়ে যাওয়া আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান জিম্মি করে সন্ত্রাসীরা। পরে এটি নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ভবনে সজোরে আঘাত হানে। এরপর গোটা বিমানটিই বিস্ফোরিত হয়। যাতে ৯২ জন যাত্রীর সকলেই নিহত হন। এছাড়া বিমানের বাইরে থাকা আরও ১৬০০ মানুষও প্রাণ হারান। যুক্তরাষ্ট্রের ওই ঘটনায় তোলপাড় হয়ে যায় সারা বিশ্ব।
২০০৩ সালে উত্তর ক্যারোলিনার শার্লট থেকে উড্ডয়নের পর ইউএস এয়ারওয়েজ এক্সপ্রেসের একটি টার্বোপ্রপ বিমান বিধ্বস্ত হয়, এতে ২১ জন আরোহী নিহত হন।
২০০৪ সালে মিসৌরির কার্কসভিলে অবতরণের সময় কর্পোরেট এয়ারলাইন্সের একটি টার্বোপ্রপ বিমান বিধ্বস্ত হয়, এতে ১৫ জনের মধ্যে ১৩ জনই নিহত হন।
২০০৫ সালে ফ্লোরিডার মায়ামি থেকে উড্ডয়নের পর চক’স ওশান এয়ারওয়েজের একটি টার্বোপ্রপ বিমান বিধ্বস্ত হয়, এতে ২০ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়েছিলেন।
২০০৬ সালে কেন্টাকি রাজ্যের লেক্সিংটন থেকে উড্ডয়নের সময় কোমায়ার আঞ্চলিক একটি বিমান রানওয়ে পার হওয়ার পরই বিধ্বস্ত হয়, এতে ৫০ জন আরোহীর মধ্যে ৪৯ জনই প্রাণ হারান।
২০০৯ সালে নিউইয়র্কের বাফেলোতে অবতরণের সময় একটি কোলগান এয়ার টার্বোপ্রপ বিমান বিধ্বস্ত হয়, এতে ৪৯ জন আরোহীর সঙ্গে মাটিতে থাকা একজন নিহত হন।
কেকে/এআর