কামরাঙ্গীরচরে সোনার থালা রেস্তোরাঁর উদ্বোধনে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও স্থানীয় কিছু মুসুল্লির আপত্তিতে শেষ পর্যন্ত তাকে ছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এ ঘটনা নিয়ে শোবিজ অঙ্গনে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) কামরাঙ্গীরচরে সোনার থালা নামের একটি রেস্তোরাঁর উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের। তবে স্থানীয় কিছু মুসুল্লির আপত্তির কারণে মালিকপক্ষ তাকে ছাড়াই রেস্তোরাঁর উদ্বোধন করেন।
কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমীরুল ইসলাম জানান, উদ্বোধনে অপু বিশ্বাস আসবেন—এমন প্রচারণা চালানোর পর স্থানীয় মুসুল্লিরা আপত্তি জানায়। এরপর মালিকপক্ষ অপুকে না আনার সিদ্ধান্ত নেয়, কারণ তারা ব্যবসায় কোনো ধরনের বিরোধ চান না।
মেহজাবীন ও পরীমণির পর অপু বিশ্বাসের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। অনেকে এটিকে শোবিজ অঙ্গনের জন্য অশনি সংকেত হিসেবে দেখছেন।
এই প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেন, দুঃখিত অপু বিশ্বাস দি। আমাদের শিল্পীদের মধ্যে একতা না থাকার কারণে তোমাকেও এভাবে অপমানিত হতে হলো। তা না হলে মেহজাবীন, পরীমণির পর কোনো শিল্পীকে অপমান করার আগে সবাই ৫০০০ বার ভাবত।
অপু বিশ্বাস এ বিষয়ে শুরুতে নীরব থাকলেও অবশেষে ৩০ জানুয়ারি এক গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন।
তিনি বলেন, মালিকপক্ষ আমাকে জানায়, আপু টাইম শেষ। আপনি একটা সুন্দর ভিডিও পাঠিয়ে দিন। তাদের ইলেকট্রিসিটির সমস্যা ছিল।
উল্লেখ্য, সেদিন অপু কামরাঙ্গীরচরের অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে কেরানীগঞ্জে একটি শোরুম উদ্বোধন করেন। তবে বাধার মুখে পড়ার বিস্তারিত প্রসঙ্গে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
কেকে/এএম