শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫,
৬ বৈশাখ ১৪৩২
বাংলা English

শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
শিরোনাম: হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশের আবেদন      পেঁয়াজে পুরনো সিন্ডিকেট      রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নেওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক নিহত      অনিয়মে নিমজ্জিত মেঘনা গ্রুপ      যুক্তরাষ্ট্রদোহী আন্দোলনে ভিসা বাতিল হওয়া অর্ধেকই ভারতীয় শিক্ষার্থী      সুতার বাজার হারিয়ে দিশাহারা ভারত       কাফনের কাপড় পরে গণমিছিল কারিগরি শিক্ষার্থীদের      
রাজনীতি
কিছুদিন ছেলের বাসায় থাকবেন খালেদা জিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:০০ পিএম আপডেট: ৩১.০১.২০২৫ ৮:১০ পিএম  (ভিজিটর : ১৮২)
ছবি:সংগৃহীত

ছবি:সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি এখনই দেশে ফিরছেন না। আরও কয়েক সপ্তাহ পর তিনি দেশে ফিরতে পারেন। আপাতত তিনি তারেক রহমানের বাসায় থাকবেন। 

চিকিৎসকের ভাষ্য- চূড়ান্ত ফলোআপ শেষ করেই বিএনপি চেয়ারপারসনের দেশে ফেরার তারিখ ঠিক করা হবে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য লন্ডন থেকে শুক্রবার রাতে  বলেন, ম্যাডাম অনেকটা ভালো আছেন। ছেলের বাসায় চিকিৎসা চলছে।কয়েকদিন পর হয়তো আবারও ফলোআপের জন্য হাসপাতালে নেওয়া হবে। চূড়ান্ত ফলোআপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না তিনি কবে দেশে ফিরছেন। উনি দ্য লন্ডন ক্লিনেকে সেরা চিকিৎসা পাচ্ছেন। সেখানে বিশ্ববিখ্যাত চিকিৎসকরা সেবা দিয়ে থাকেন। পুরো বডি চেক আপ করা মানে অনেকটা আরোগ্য লাভ করা। ম্যাডাম না ফিরলেও সপ্তাখানেকের মধ্যে কয়েকজন সফরসঙ্গী চিকিৎসক দেশে ফিরবেন। বাকিরা শেষ পর্যন্ত থেকে যাবেন ম্যাডামের সঙ্গে। দেশে ফিরে তারা জুমে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। 


তিনি জানান,  দুই পুত্রবধূ ও তিন নাতনির সঙ্গে খালেদা জিয়া আনন্দে সময় পার করছেন। বেশ খোশ মেজাজে আছেন তিনি। এর ফলে খালেদা জিয়ার মানসিক অবস্থা বেশ ভালো। শিগগির তিনি দেশে ফিরতে চান। তবে তার ছেলে তারেক রহমানের চাচ্ছেন রোজার ঈদ পর্যন্ত ম্যাডাম লন্ডনে থাকুক। এখন দেখা যাক কবে দেশে ফিরেন। 

এই চিকিৎসক বলেন, ম্যাডামের চিকিৎসা প্রায় শেষ। দেশে ফেরার আগে উনাকে শেষবার ফলোআপ চিকিৎসার জন্য নেওয়া হবে দ্য লন্ডন ক্লিনিকে। উনার মূল কিডনিতে যে সমস্যা ছিল তার অনেকটা উন্নতি হয়েছে। অন্য জটিলতাও কমছে। আর আগেই বলেছি স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে লিভার প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি।  
    
টানা ১৭দিন চিকিৎসা নিয়ে দ্য লন্ডন ক্লিনিক থেকে খালেদা জিয়া সরাসরি ছেলে তারেক রহমানের বাসায় উঠেন। সম্প্রতি লন্ডন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার  জানান, খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বিবেচনায় লিভার প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি। এখন কিছুটা সমস্যা কিডনিতে। যদিও এতে উদ্বেগের কিছু নেই। 


কবে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া? জবাবে এই চিকিৎসক জানান, বলা যায় মূল চিকিৎসা শেষ। এখন ফলোআপ করতে হবে। কবে দেশে ফিরবেন এটা ম্যডামের ওপর নির্ভর করছে। 

দুইদিন আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন লন্ডনে সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়া দেশে ফেরার জন্য অত্যন্ত উদগ্রীব। উনি বলেছিলেন, চলো আমরা দ্রুত বাংলাদেশে ফিরে যাই। দেশই আমাদের জন্য ভালো।
জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ ছিলেন। উনার বেশ কিছু পরীক্ষা আমরা করিয়েছি, যেগুলো এখানেও সম্ভব হয়নি। সেগুলো উনারা (লন্ডন ক্লিনিক) করিয়েছে। কিন্তু তার রিপোর্ট আমরা এখনও পাইনি। সেগুলো পাওয়ার পর পরই সিদ্ধান্ত হবে উনি কত দ্রুত বাংলাদেশে ফিরে যাবেন।

তিনি জানান, খালেদা জিয়া সার্বক্ষণিক প্রফেসর জন প্যাট্টিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রস, এই দুইজনের সার্বিক তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন এবং মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বাসায় নিয়মিত ফলোআপ করছেন। অর্থাৎ ইউকের যে নিয়ম, সেই নিয়ম মেনেই উনার চিকিৎসা চলছে।


গত ৭ জানুয়ারি খালেদা জিয়া কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেসে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন। এই হাসপাতালটির লিভার বিশেষজ্ঞ জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসাধীন চলছে। ৮০বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।


দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে যেতে হয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। ২০২০ সালে তিনি সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি পেলেও তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি হয়নি। এরপর চার বছরে তাকে কয়েক দফা ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকরা ঢাকায় এসে খালেদা জিয়ার যকৃতে ‘ট্র্যান্সজাগুলার ইন্ট্রাহেপেটিক পোরটোসিসটেমিক শান্ট (টিপস)’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুই রক্তনালীর মধ্যে একটি নতুন সংযোগ তৈরি করে দিয়ে যান। তখন থেকেই বলা হচ্ছিল, বিদেশে নিয়ে খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা দরকার। গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে পুরোপুরি মুক্তি দিলে সেই সুযোগ তৈরি হয়।

কেকে/এইচএস
আরও সংবাদ   বিষয়:  ছেলে   বাসা   খালেদা জিয়া  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশের আবেদন
শেরপুরের প্রানিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ফতুল্লায় যুবককে গুলি করে হত্যায় প্রধান আসামী বাবু গ্রেফতার
পেঁয়াজে পুরনো সিন্ডিকেট
চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির অভিযানে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ

সর্বাধিক পঠিত

প্রভাবশালীরা গিলে খাচ্ছেন হাওরের জমি, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য
স্কুলে শিক্ষক থাকলেও, শিক্ষার্থী কেবল কাগজে-কলমে
বিএনপি নেতাকে হাতুড়িপেটা করার অভিযোগ জামায়াত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে
টঙ্গীতে দুই শিশুকে জবাই করে হত্যা
ফতুল্লায় যুবককে গুলি করে হত্যায় প্রধান আসামী বাবু গ্রেফতার

রাজনীতি- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝
close