নোয়াখালী সোনাইমুড়ীতে দেখা নেই সূর্যের। বৃষ্টির মতো টিপটিপ করে ঝরছে কুয়াশা, সঙ্গে হিমেল হাওয়া। সব মিলিয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকেই নোয়াখালী সকল উপজেলার ন্যায় সোনাইমুড়ী উপজেলাও ঢেকে গেছে ঘন কুয়াশায়। জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে চাকরিজীবী থেকে কৃষক পর্যন্ত, এতে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল, হেডলাইট জ্বালিয়েও মিলছে না সুফল।
সরেজমিনে সোনাইমুড়ী বাজার, আমিশাপাড়া, সোনাপুর, ইসলামগঞ্জ বাজার, বাংলাবাজার, কালিকাপুর বাজার, বারুল চৌরাস্তাসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির মতো ঝিরিঝিরি কুয়াশায় ভিজে গেছে রাস্তাঘাট। যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। তবে ছুটির দিন হওয়ায় রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা তুলনামূলক কম। আর যারাই জীবিকার টানে বের হচ্ছেন বৃষ্টির মতো কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় পড়ছেন ভোগান্তিতে। গরম পোশাক গায়ে জড়িয়েও যেন রেহাই মিলছে না।
সোনাইমুড়ী রেলস্টেশনের পাশে আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিচ্ছিলেন কয়েকজন শ্রমজীবী মানুষ। তারা বলেন, শীত লাগার কারণে আগুন জ্বালিয়ে গরমের তাপ নিচ্ছি। প্রচণ্ড শীত থাকলেও আগুন জ্বালানোর পরে কিছুটা ভালো লাগছে।
সোনাইমুড়ী বাজার এলাকায় কথা হয়, রিকশাচালক আব্দুল মান্নানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে, তাই বলে ঘরে বসে থাকলে হবে, খাবো কী বৌ-বাচ্চারা কষ্ট পাবে, তাই বাধ্য হয়ে পেটে দায়ে রাস্তায় নেমেছি।
এক টুকরো গরম কাপড় আর সূর্যের মান ভাঙার দিকে তাকিয়ে আছেন সোনাইমুড়ী উপজেলা এলাকার ছিন্নমূল মানুষ। তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, শীতে কষ্ট হচ্ছে। গরম কাপড় আর কম্বল হলে ভালো হতো। কিন্তু তা কেনার সামর্থ্য কোথায়?
বিদ্যমান আবহাওয়া আরও কিছুদিন অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সহকারী আবহাওয়াবিদ সুস্মিতা বড়ুয়া প্রতিবেদককে জানান, আগামী কয়েকদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। যদিও ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাও কোথাও তীব্র শীত অনুভূত হতে পারে।
তিনি আরো জানান, এ সময় মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এতে অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
কেকে/এআর