কুমিল্লায় যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামকে হত্যার করা হয়েছে দাবি করে বিচারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
শনিবার (১ ফেব্রয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সকালে নিহতের নিজ গ্রাম সদর উপজেলার ইটাল্লায় বিক্ষোভ করেন তারা।
দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান তারা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার, ভাই আবুল কালাম আজাদ টিপু ও সাদেকুর রহমান, চাচা আবুল বাশার, এলাকাবাসীর পক্ষে দীঘিরপাড় আলেকজান মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মো. শাহজাহান, মো. মনির হোসেন, লুৎফুর রহমান লুতুসহ অন্যরা।
তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার বলেন, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। কোথাও কোনো অভিযোগও নেই। আমার নিরপরাধ স্বামীকে কেন হত্যা করা হলো? এই যদি হয় ‘নতুন স্বাধীনতা’, তাহলে মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?
তিনি বলেন, আমি এর বিচার চাই। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি জানাচ্ছি।
কুমিল্লার যৌথবাহিনী তুলে নেওয়ার পর শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) হাসপাতালে স্থানীয় যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের মরদেহ পায় পরিবার।
তাকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা।
বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, তার ভাইকে শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে গ্রামের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান যৌথবাহিনীর সদস্য পরিচয় দেওয়া চারজন।
কোতোয়ালি থানার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৌহিদুলের (৪২) শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার পেটে, তলপেটে, উরুর পেছনে, দুই হাত এবং বাম পায়ের বুড়ো আঙুলে ভোঁতা আঘাতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ গাঢ় ও ফোলা চিহ্ন রয়েছে।
কেকে/এএম