কক্সবাজারের চকরিয়ায় প্রকাশ্যে দিবালোকে আছ-ছফা আর্দশ শিক্ষা নিকেতন নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কেটে খেলার মাঠ ও জায়গা জবর-দখল করে ইটের বাউন্ডারি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে কে বি জালাল উদ্দিন সড়ক (বদরখালী-মহেশখালী) সড়কস্থ আছ-ছফা আর্দশ শিক্ষা নিকেতনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের শতশত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অবিভাবক ও স্কুল কমিটি এবং স্থানীয় এলাকাবাসী স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশ নেন।
আয়োজিত মানববন্ধনে আছ-ছফা আদর্শ শিক্ষা নিকেতন সভাপতি কাজী এনামুল হক বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছর পূর্বে অত্র জনপদে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত ও শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে আলোকিত করতে সমাজের সচেতন ব্যক্তিরা এই প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেন।
বহু কষ্টের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের প্রয়োজনে ৭৩ শতক জায়গা নিয়ে এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে চারপাশে সীমানা দেওয়ালও নির্মাণ করা হয়। হঠাৎ করে কিছু চিহ্নিত ভূমিদস্যু এভাবে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে স্থাপনা হিসেবে ওয়াল নির্মাণ করবে তা ভাবতে কষ্ট হচ্ছে।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত সুষ্টুভাবে পরিচালিত হয়ে আসলেও এলাকার কিছু চিহ্নিত ভূমিদস্যু প্রকাশ্যে দিবালোকে গাছ কেটে খেলার মাঠ দখল করে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ইটের বাউন্ডারি নির্মাণ করেন। এটা বড়ই নিন্দনীয় ঘটনা। বিদ্যালয়ের সীমনার ভেতরে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জবর-দখলকারী ও ভূমিদস্যুদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের গাছ কেটে খেলার মাঠ দখল করার বিষয়টি কেউ দফতরে অভিযোগ করেনি। এইমাত্র আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি খেলার মাঠ দখল করে ওয়াল নির্মাণের বিষয়টি। এরকম ঘটনা কেউ করে থাকলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে স্থাপনা নির্মাণের ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতিকুর রহমান কাছে জানতে চাইলে বলেন, বিদ্যালয়ের গাছ কেটে খেলার মাঠ ও জায়গা দখলের বিষয়ে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিতে সাহারবিল ইউপি সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। খেলার মাঠে স্থাপনা বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারপরও কেউ নির্দেশনা অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেকে/এএম