পটুয়াখালীর দশমিনায় পারিবারিক পুষ্টির বাগান করে পারিবারিক চাহিদা পূরণ ও লাভবান হচ্ছে সাধারণ কৃষক।
উপজেলা ৭টি ইউনিয়নে অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনার আশেপাশে মাচায় লাউ ও মিষ্টি কুমড়া আবাদের পাশাপাশি শীতকালীন সবজি চাষ করছে তারা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনী ও উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষি উপকরণ পেয়ে পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় সবজির চাষ করে নতুন স্বপ্ন বুনছে। পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন।
উপজেলার দশমিনা সদর ইউনিয়নের নিজাবাদ গ্রামের কিষানী মারুফা আক্তার বলেন, এ বছর মাচায় লাউ, সিম, বরবটি ও বেডে পালংশাক, লালশাক, গাজর, কলমিশাক চাষ করে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাহিরে বিক্রি করে অনেক লাভবান হয়েছে। আগামীতে আরো ভালোভাবে পুষ্টি বাগান করবো।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. দুলাল ও আল মামুন খোলা কাগজকে জানান, পুষ্টি বাগান স্থাপনের জন্য কৃষক-কিষানীদের মাঝে বিনামূল্যে সার, বীজ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের আর্থিক সহযোগিতা ও পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা বাড়ানোসহ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় উপজেলা কৃষি বিভাগ সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত ও পরিবারের নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা পূরনে গড়ে তোলা হয়েছে এ বাগান। কৃষি সম্প্রসারণ দফতরের সহযোগিতায় অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় এ উপজেলায় দুটি ধাপে তৈরি করা হয়েছে মোট ৩৫৫ টি বাগান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহমেদ জানান, দশমিনা উপজেলায় ৮০ ভাগ মানুষ কৃষি নির্ভর। যে কোন স্থানে ভালো ফসল উৎপাদন হয়। এই উপজেলায় কৃষকদের সহযোগিতায় কৃষি বিপ্লব ঘটানো সময়ের ব্যাপার মাত্র। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় আবাদি-অনাবাদি জমিতে কৃষি প্রদর্শনী, শীতকালীন সবজির চাহিদা কথা চিন্তা করে কৃষকরা মাচা পদ্ধতিতে লাউ আবাদ করে সফলতা অর্জন করেছে। কৃষি জমিতে পানি থাকায় চাষাবাদ করতে পারতো না। ফলে স্থানীয়রা চাহিদা মিটাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সবজি নিয়ে আসা হতো। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও স্থানীয় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা নিজেরাই সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছে।
কেকে/এজে