চট্টগ্রাম টেস্টে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ে ছেলে খেলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। দেড় দিনেরও বেশি সময় ব্যাট করে ৫৭৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে প্রোটিয়ারা। যেখানে বড় ইনিংস খেলেছেন টনি ডে জর্জি (১৭৭), ক্রিস্টান স্টাবস (১০৬) এবং ওয়ায়ান মুল্ডার (১০৩)।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) দ্বিতীয় দিনেও দুর্দান্ত শুরু করেছিল আগের দিনে ২৫ রান করা ডেভিড বেডিংহ্যাম এবং ১৪১ রানে অপরাজিত থাকা টনি ডে জর্জি। ২৩৫ বলে নিজের ১৫০ রান পূরণ করেন জর্জি।
অপর প্রান্ত থেকে ৭০ বলে ফিফটি তুলে নেন বেডিংহ্যাম। ফিফটির বেশিক্ষণ পিচে থাকতে পারেননি এই ডান হাতি ব্যাটার। ৭৮ বলে ৬৯ রান করে তাইজুলের তৃতীয় শিকার হন তিনি। সতীর্থের বিদায়ে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি ডাবল সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা জর্জি। ২৬৯ বলে ১৭৭ রান করে তাইজুলের চতুর্থ শিকার হন এই প্রোটিয়ার ওপেনার।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মিরপুর টেস্টে সেঞ্চুরি পাওয়া কাইল ভেরাইনেও। শূন্য রান করা এই ব্যাটারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে নিজের ফাইফার পূরণ করেন তাইজুল। এতে দলীয় ৩৯১ রানে ৫ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
এরপর প্রোটিয়া শিবিরে হাল ধরেন রাইয়ান রিকেলটন ও ওয়ায়ান মুল্ডার। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি রিকেলটন। ১২ রান করে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তুলে নেন মুল্ডার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন সেনুরান মুথুসামি। ৬২ বলে ফিফটি তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটারও।
অপর প্রান্ত আগলে রেখে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন মুল্ডার। শেষ পর্যন্ত মুথুসামির ৭০ রান এবং মুল্ডারের অপরাজিত ১০৩ রানে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৭৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে প্রোটিয়ারা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেন তাইজুল ইসলাম। এ ছাড়াও এক উইকেট নেন নাহিদ রানা।
উল্লেখ্য, প্রথম দিনে ৮১ ওভার ব্যাট করে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডেভিড বেডিংহ্যাম ২৫ বলে ১৮ রান এবং ২১১ বলে ১৪১ রানে অপরাজিত থেকে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে টনি ডে জর্জি। এখান থেকেই দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছে দুই দল।
কেকে/এমআই