বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে দীর্ঘ ৬ বছর আগে আলমগীর সিকদার নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগে তার ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করে। এদিকে মামলার দীর্ঘ ৬ বছর পার হয়ে গেলে এখনোও প্রকৃত হত্যাকারী গ্রেফতার না হওয়ায় এবং আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বাদীর পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান এবং প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করে আলমগীর সিকদার এর পরিবার।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় বান্দরবান প্রেসক্লাবের হলরুমে নিহত আলমগীর সিকদারের বাবা, ভাই ও ছেলে উপস্থিত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং আলমগীর সিকদার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিহত আলমগীর সিকদারের ভাই মোহাম্মদ দস্তগীর সিকদার মানিক বলেন, ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই সাড়ে ১০টায় লামা সরই পুলাং পাড়ায় নিজের মুরগি খামার থেকে ফেরার পথে রাবার বাগান পৌঁছালে সেলিম উদ্দিনসহ তার সহযোগীরা আলমগীর সিকদারকে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
এই ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই হত্যাকারী সায়মন ত্রিপুরা ও বীর বাহাদুর ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করে। সেলিম উদ্দিনসহ জয়নাল আবেদীন ভেট্টু ও তার ভাই জমির উদ্দীন আলমগীর সিকদার হত্যাকান্ডের প্রধান পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারী এবং নিজেরাও হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত মর্মে হত্যাকারী সায়মন ত্রিপুরা, বীর বাহাদুর ত্রিপুরা আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
এছাড়া পুলিশ তদন্তে হত্যার আগের দিন বিভিন্ন স্থানে অন্যান্য হত্যাকারীসহ সেলিম উদ্দিনের স্বশরীর উপস্থিতির সিসিটিভি ফুটেজ, লোহাগাড়া মামনি হাসপাতালে যাওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ, লোহাগাড়ায় আবাসিক হোটেলে অবস্থান করার ফুটেজ প্রমাণ পায়। এমনকি যে কামারের দোকান থেকে দা বানিয়ে সে দা দিয়ে আলমগীর সিকদারকে হত্যা করেছে সে কামার ও স্বীকার করেছে দা কে ক্রয় করেছে।
এসময় আলমগীর সিকদারের ভাই মোহাম্মদ দস্তগীর সিকদার মানিক বলেন, গত ৬ বছরেও মামলার প্রকৃত মাষ্টার মাইন্ডরা গ্রেফতার হয়নি, উপরন্তুু হত্যাকারীরা গ্রেফতার না হওয়ায় ক্রমাগত মামলা তুলে নিতে আমাদের পরিবারকে নিয়মিত বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।
এসময় আলমগীর সিকদারের ভাই মোহাম্মদ দস্তগীর সিকদার মানিক ও তার পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ের এবং ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।
কেকে/ এমএস